TVS Apache RTR 160 4V ইউজার রিভিউ - রনি । বাইকবিডি

This page was last updated on 18-Nov-2023 11:32am , By Ashik Mahmud Bangla

মোটরসাইকেল বর্তমান সময়ের এক অপ্রতিরোধ্য প্যাশনের নাম। আমাদের প্রতিদিনের জরুরি প্রয়োজনে- স্বল্প সময়ে এবং স্বল্প খরচে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে এই মোটরসাইকেল । এই কারনেই বর্তমানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার আগ্রহ এবং শখের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছে এই মোটরসাইকেল। আমিও এর ব্যতিক্রম নই । 

আমার বাইক রাইডিংটা শুরু হয়েছিলো Keeway RKS 125cc বাইক দিয়ে । এরপর হাতে পেলাম TVS Apache RTR 160 4V । প্রায় ৩০০০ কিলো চালিয়ে আজ আপনাদের কাছে বাইকটার ইউজার রিভিউ নিয়ে এলাম। 

tvs apache rtr 160 4v price in bangladesh 

তবে শুরুতেই বলে নিচ্ছি – এই ইউজার রিভিউ কিন্তু একান্তই আমার ব্যক্তিগত মতামত, আপনাদের অনেকের মতের সাথে মিল নাও থাকতে পারে ।

TVS Apache RTR 160 4V - ডিজাইন এবং ফিচারঃ

টিভিএস এপাচি আরটিআর ১৬০ ৪ভি বাইটি লাল, নীল আর কালো এই তিনটি কালারে পাওয়া যাচ্ছে । কিন্তু ছোট বেলা থেকেই আমার পছন্দ কালো রঙের বাইক । বরাবরের মতো কালো রঙের বাইকটি আমি নিয়ে নিলাম । ডুয়েল ডিস্ক বাইক চালাতে আমি কম্ফোর্টেবল না,তাই সিঙ্গেল ডিস্ক বাইকটাই বেছে নিয়েছি । অনেকের কাছে গ্লোসি কালো ভালো লাগলেও, আমার পছন্দ ম্যাট ব্ল্যাক । তাই বাইকটি কিনে আমি নিজের মতো মডিফাই করিয়ে নিলাম । 

তবে একই বাইকে কালো-সাদা-ছাই রঙের কম্বিনেশনটি আমার ভালো লাগেনি । কালারের ব্যাপারটা ছাড়া বাইকের ডিজাইন আমার কাছে এক কথায় অসাধারন লেগেছে । অন্যান্য বাইক থেকে সম্পুর্ন ব্যতিক্রম এই বাইকের ডিজাইন। একটু ডান দিকে ঢাকনাযুক্ত উচুঁ ফুয়েল ট্যাংক আমার কাছে দারুন লেগেছে । বাইকের মাথাটা বডি থেকে একেবারেই আলাদা দেখায় । 

সেই সাথে দৃষ্টিনন্দন এবং আরামদায়ক হ্যান্ডেলবার তো রয়েছে। নতুন ডিজাইনের স্পিডোমিটার, এবিএস ইন্টিগ্রেটর, টপ স্পিড রেকর্ডার, ০-৬০ সেকেন্ড রেকর্ডার, ট্রাপেজিয়াম হ্যালোজেন হেডলাইট হাইপার এগ্রেসিভ নেকেড হেডল্যাম্পের ব্যবহার করা হয়েছে । এলইডি লাইট যা বাইকের লুকটাকে আরো এগ্রেসিভ করেছে ।

  tvs apache rtr 160 4v user review bikebd

 এগ্রেসিভ ফুয়েল ট্যাংক, এরোডাইনামিক এর আদলে স্ট্রিট-ফাইটার মাস্কুলার ডিজাইনের কারনে সামনের দিকে কিছুটা হেলে রাইড করতে হয়, যা যে কোন স্পীডে অনেক ভালো হ্যান্ডেলিং এনে দেয়ার পাশাপাশি আপনার মনে একটা রেসিং বাইকে বসার অনুভুতি এনে দেয় । তবে বাইকের হেডলাইটের আলো নিয়ে আমি সন্তুষ্ট নই । বাইকটা এবিএস হলে আরো ভালো হতো। 

উচ্চতাঃ ১০৫০ মিমি উচ্চতার এই বাইকটি ২০৫০ মিমি লম্বা এবং ৭৯০ মিমি চওড়া। সীটের উচ্চতা ৮০০ মিমি উপরে যা সাড়ে ৫ ফিটের কম উচ্চতার মানুষের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং। তবে ১৮০ মিমি গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্সের এই বাইকের হুইলবেজ ১২৮৫ মিমি । বাইকটি ওজন ১৪৫ কেজি ।

TVS Apache RTR 160 4V Review By Team BikeBD

ফুয়েল ট্যাংকঃ ফুয়েল ধারন ক্ষমতা ১২ লিটার আর রিজার্ভ ২.৫ লিটার হওয়াতে লং ট্যুর দেয়া যায় নিশ্চিন্তে। 

গিয়ারঃ ৫ গিয়ারের এই বাইকটা মূলত ১৫৯.৭ সিসি । আশ্চর্যের ব্যাপার হলো বাইকটার মিটারে গিয়ার ইনডিকেটর ফিচার নাই । সেই পুরানো ডিজাইনের বাইকগুলার মতো শুধুমাত্র নিউট্রালের লাইট জ্বলে । এই সময়ে এতো আধুনিক ডিজাইনের বাইকের এই ফাংশন না থাকাটা হতাশাজনক । আর হ্যাঁ, বাইকের টপ স্পিড আমি প্রথমবারেই ১১৪ পেয়েছি এবং সেটা মেয়র হানিফ ফ্লাই ওভারে । তার মানে উপযুক্ত রাস্তা পেলে খুব সহজে আরো বেশি টপ তোলা যাবে ।

 tvs apache rtr 160 4v    

ব্রেকিংঃ এবারে আসি বাইকটার ব্রেক প্রসঙ্গে, আরটিআর বাইকের বিরুদ্ধে সর্বাধিক প্রচলিত অভিযোগ হচ্ছে – ব্রেক করলে চাকা স্লিপ করে। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও আমি এখন পর্যন্ত এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হই নাই । আমার কাছে মনে হয়েছে - সামনের এবং পিছনের ব্রেক ধরার টাইমিং ঠিক থাকলে এই সমস্যা হওয়ার কথা না । তবে আপনাকে অবশ্যই ব্রেকিংটা একটু ঠান্ডা মাথায় করতে হবে । 

সাসপেনশনঃ বাইকটার পেছনে মনোশক আর সামনে টেলিস্কোপিক ফর্ক ব্যবহার করার কারনে রাস্তার ঝাঁকুনির ব্যপারটাও সহনশীল পর্যায়ে নেমে এসেছে। 

রিম এবং টায়ারঃ বাইকের সামনের ৯০/৯০-১৭ এবং পিছনের ১১০/৭০-১৭ মাপের চাকা ব্যবহার করা হয়েছে। দুটি চাকাই টিউবলেস। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে পেছনের চাকাটা আরো একটু মোটা দিলে আরো দৃষ্টিনন্দন হতো এবং ব্যালেন্স টাও ভালো পাওয়া যেতো । তবে যারা ডুয়েল ডিস্ক নিবেন তারা মোটা চাকা পাবেন । 

মাইলেজঃ বাইকটার মাইলেজ নিয়ে অনেকের অভিযোগ থাকলেও আমার কাছে ব্যপারটা সহনশীল পর্যায়েরই মনে হয়েছে । যেহেতু বাইকটি নতুন এই অবস্থায় আমার মনে হয় আমি এভারেজে ৩০ কি.মি প্রতি লিটার মাইলেজ পাই । তবে আমি কখনো নিখুঁত ভাবে চেক করে দেখিনি।

  apache rtr 4v user review bikebd

সাউন্ডঃ বাইকটার লো ফ্রিকুয়েন্সি শব্দ আর ডাবল ব্যারেল স্টেইন লেস স্টিল এক্সহস্ট আমার কাছে খুবই আকর্ষনীয় মনে হয়েছে । সবশেষে বলতে চাই, বাইকের ট্যাংক, ব্যাক লাইটের উপরের প্লাস্টিক এবং সেই সাথে নাম্বার প্লেট হোল্ডারটা আরো একটু মজবুত হলে ভাল হতো । 

একটু বেশি স্পিডে ভাইব্রেশনটা আরো একটু কম হলে বাইকটা ১০০% সঠিক হতো সবার জন্য। আজ এই পর্যন্তই ছিল TVS Apache RTR 160 4V রিভিউ । আশা করি পরবর্তিতে আবারও নতুন কিছু নিয়ে হাজির হতে পারব । সবাই ভালো থাকবেন। হেলমেট ব্যবহার করুন নিরাপদে বাড়ি ফিরুন।   

লিখেছেনঃ রনি ভূইয়া     

আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। 

মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।

Best Bikes

Honda CB Hornet 160R

Honda CB Hornet 160R

Price: 169800.00

Honda CB Hornet 160R ABS

Honda CB Hornet 160R ABS

Price: 255000.00

Honda CB Hornet 160R CBS

Honda CB Hornet 160R CBS

Price: 212000.00

View all Best Bikes

Latest Bikes

Honda XL250 Degree

Honda XL250 Degree

Price: 0.00

Yamaha FZ-S 153

Yamaha FZ-S 153

Price: 0.00

Yamaha YB 100 Deluxe

Yamaha YB 100 Deluxe

Price: 0.00

View all Sports Bikes

Upcoming Bikes

Bajaj Pulsar NS150

Bajaj Pulsar NS150

Price: 0.00

Bajaj Pulsar 400

Bajaj Pulsar 400

Price: 0.00

CFMoto 300SS

CFMoto 300SS

Price: 510000.00

View all Upcoming Bikes