Shares 2

মটরসাইকেল ভাল করে চালানোর জন্য কিছু রুটিন সার্ভিসিং টিপস

Last updated on 06-Nov-2023 , By Shuvo Bangla

মটরসাইকেল আমাদের অতি প্রয়োজনীয় একটি যন্ত্র। যুবক বয়সে আর কাজের প্রয়োজনে যাদের মটরসাইকেল ব্যবহার করতে হয় তাদের জন্য এই পোষ্ট।

দুই চাকার এই যন্ত্রটি আপনাকে দেবে চলাচলের স্বাধীনতা তবে ঝামেলা হলে এটাই আপনার মৃত্যুর কারণ হতে পারে। আর রাস্তায় যদি কোন ঝামেলা হয় তবে আপনাকে পড়তে হতে পারে যথেষ্ট বিড়ম্বনার মাঝে। যারা মটরসাইকেল চালান সবারই মোটামুটি দু-একবার অভিজ্ঞতা আছে রাস্তার মাঝে হঠাত নষ্ট হয়ে যাওয়া বাইক ঠেলার। এইরকম অবস্থায় নিজেকে বড়ই অসহায় লাগে।

মটরসাইকেল ভাল করে চালানোর জন্য কিছু রুটিন সার্ভিসিং টিপস

মটরসাইকেল ভাল করে চালানোর জন্য আমাদের কিছু কিছু রুটিন সার্ভিসিং জেনে রাখা দরকার। একটা মটরসাইকেলের প্রধান অংশ হল এর ইঞ্জিন (পেট্রল/অকটেন), স্টিয়ারিং সিস্টেম, পাওয়ার ট্রন্সমিশন সিস্টেম, চাকা ও ব্রেক । প্রতিদিন ও রুটিন মাফিক এই অংশগুলো পরীক্ষা করে দেখা দরকার তবে এই বিশাল তালিকা থেকে যতটা সম্ভব ছোট একটি তালিকা আমাদের অবশ্যই জানা উচিত।

তালিকা নিম্নরুপ:-

১. ব্যাটারী। ২. টায়ার। ৩. ইঞ্জিন ওয়েল (লুব্রিকেন্ট যা আমরা মবিল বলে থাকি)। ৪. ফুয়েল (পেট্রল/অকটেন) । ৫. ব্রেক। ৬. চেন স্প্রকেট। ৭. বিভিন্ন নাট/বোল্ট । ৮. ইঞ্জিন।

আসুন শুরু করা যাক ঃ-

দিনের শুরুতে আপনার বাইকটি সমান জায়গায় স্ট্যান্ড করে রেখে (ডাবল স্ট্যান্ড দিয়ে) এর বিভিন্ন নাট বোল্ট পরখ করে দেখুন। বিশেষ করে

১. দুই চাকার নাট বোল্ট ২. সাসপেন্শনের নাট বোল্ট ৩. স্টিয়ারিং এর নাট বোল্ট

এইবার ওয়েল ইন্ডিকেটর এর দিকে তাকিয়ে ওয়েল লেভেল দেখুন। ওয়েল আপার ও লোয়ার লেভেলের মাঝে থাকবে। { প্রতি ১০০০-১২০০ কি.মি. চলার পর ওয়েল পাল্টিয়ে ফেলবেন (বাইকের অপারেশন ম্যানুয়াল ও দেখতে পারেন)। বাইকের ম্যানুয়াল অনুযায়ী রিকোমেন্ডেড গ্রেড এর ইঞ্জিন ওয়েল ব্যবহার করুন। অবশ্যই বিস্বস্ত ও ভাল ডিলারের কাছ থেকে ওয়েল কিনতে হবে। মেয়াদ পার হয়ে গেলে দেরী না করে ওয়েল পাল্টাবেন।} যদি ওয়েল লেভেল সঠিক থাকে তবে পরবর্তী স্টেপ এ যাব আর ঠিক না থাকলে ওয়েল পাল্টানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। সাময়িক ভাবে কিছু ওয়েল দিয়ে বাইক স্টার্ট করে মেরামত করার জন্য নেওয়া যাইতে পারে তবে তা অবশ্যই অল্প দুরত্বে হতে হবে।

এখন চাকা পরীক্ষা করুন। টায়ার এর হাওয়া কম/বেশী থাকলে নোট করুন (মাথায়) এবং পরবর্তীতে ঠিক করে নিন। কম/বেশী হাওয়া দিয়ে বাইক চালালে টায়ার বেশী ক্ষয় হবে আর সাথে পেট্রল। টায়ারের বিট ১ মি.মি এর কিছু উপরে থাকতেই টায়ার পরিবর্তন করুন। না করলে এনি টাইম চিতপটাং হতে পারেন রাস্তার উপর (১০০% গ্যারান্টি আছে)।

এইবার চাবী দিয়ে বাইকের ইলেক্ট্রিকেল অংশ চালু করে ইন্ডিকেটর গুলো ঠিকভাবে কাজ করছে কিনা পরীক্ষা করুন। লাইটের উজ্জ্বলতা বলে দেবে আপনার বাইকের ব্যাটারী কি অবস্থায় আছে আর হর্ন বাজিয়েও দেখতে পারেন (সকাল সকাল বাসার মধ্যে হর্ণ দিয়া পাবলিকের মাইর খাইলে আমি জানি না ) । দুর্বল হর্ণ ও ইন্ডিকেটরের দুর্বল আলো বলেদেবে ব্যাটারী ভাল না খারাপ। খারাপ হইলে দোকানে নিয়া যান।

ব্রেক এ চাপ দিয়া দেখুন ঠিক ভাবে গ্রীপ করে কিনা। গ্রীপ ঠিক ভাবে না করলে ব্রেক টাইট দিয়ে ঠিক করুন। হাইড্রলিক ব্রেকের ক্ষেত্রে ব্রেক ফ্লুইড লেভেল ঠিক আছে কিনা দেখুন। না থাকলে ঠিক করে নেন। হাইড্রলিক ওয়েল যদি বাইকের রং এ লাগে তাহলে কিন্তু সাধের বাইকের রং চলে যাবে তাই সতর্ক থাকবেন ।

Also read: বাইক কাস্টোমার সার্ভিস - নিম্ন মানের কাস্টোমার সার্ভিস এর ক্ষেত্রে করনীয়

ফুয়েল ইন্ডিকেটর থেকে ফুয়েলের পরিমান দেখে নিন। পর্যাপ্ত না থাকলে নিকটস্থ পাম্প থেকে রিফুয়েলিং করে নিবেন। ট্যাংক এর ফিল্টার মাঝে মাঝেই পরিস্কার করা উচিত (যদি থাকে)।

ইন্জিন ও সাইলেন্সারের মাঝে কোন বাড়তি পদার্থ (কাদা, খড়, কাপড় ইত্যাদি) থাকলে তা পরিস্কার করে নিতে হবে।

চেন স্প্রোকেট চেক করে দেখুন। বেশী লুজ বা টাইট থাকলে ১/৪ “ পরিমান সেগ (মাঝে) রেখে এডজাস্ট করে নিতে হবে। চেন এ বাড়তি কিছু থাকলে তাও পরিস্কার করতে হবে। চেন এ অতিরিক্ত তেল (লুব ওয়েল/গ্রীজ) না থাকাই উচিত।

এইবার বাইকটি কিক দিয়ে স্টার্ট দিন। দিনের শুরুতে সেলফ ব্যবহার করবেন না। স্টার্ট দেওয়ার সময় চোক লিভার টেনে রাখুন। বাইক স্টার্ট নেওয়ার পর এক্সিলেটর আইডলে রেখে কিছু সময় (১ মিনিট যথেস্ট) চলতে দিন আর এই সময় গিয়ার কই রাখবেন এইটা আপনার ব্যাপার। এরপর চোক লিভার ছেড়ে দিয়ে এক্সিলেটর ধীরে ধীরে বাড়ান এবং ইন্জিনের সাউন্ড শোনার চেস্টা করুন। একভাবে শব্দ হলে চলা শুরু করুন। উল্টাপাল্টা সাউন্ড পেলে স্টার্ট বন্ধ করে মেকার বরাবর মারেন ঠেলা ।

দাড়ান একবারে ভো করে চলে না গিয়ে আস্তে আস্তে এক্সেলেটর বাড়ান। একটু গিয়ে ব্রেক চেপে পরীক্ষা করে নিন পুনরায়। আরাম করে বসে চলতে শুরু করুন।

বিদ্র: হেলমেট অবশ্যই ব্যবহার করবেন এবং অযথা রাফ ড্রাইভ করবেন না।

সবাইকে ধন্যবাদ আমাদের সাথে থাকার জন্য।

- Team BD Bikers Society - BDBS

-Mahfuzur Rahman

Published by Shuvo Bangla

Best Bikes

Honda CB Hornet 160R

Honda CB Hornet 160R

Price: 169800.00

Honda CB Hornet 160R ABS

Honda CB Hornet 160R ABS

Price: 255000.00

Honda CB Hornet 160R CBS

Honda CB Hornet 160R CBS

Price: 212000.00

View all Best Bikes

Latest Bikes

Joy e-bike Glob

Joy e-bike Glob

Price: 0.00

Aprilia Tuareg 660

Aprilia Tuareg 660

Price: 0.00

Aprilia Tuono 660

Aprilia Tuono 660

Price: 0.00

View all Sports Bikes

Upcoming Bikes

Bajaj Pulsar NS400Z

Bajaj Pulsar NS400Z

Price: 460000.00

Bajaj Pulsar NS150

Bajaj Pulsar NS150

Price: 0.00

Bajaj Pulsar 400

Bajaj Pulsar 400

Price: 0.00

View all Upcoming Bikes