Honda CB Hornet 160R CBS বাইকের মালিকানা রিভিউ - দীপ্তক

This page was last updated on 29-Jul-2024 05:39pm , By Shuvo Bangla

আমার নাম ফারিয মোহাম্মাদ দীপ্তক । আমার বাড়ি রাজশাহী জেলায় । আমি আজ আমার ব্যবহার করা Honda CB Hornet 160R CBS বাইকটি নিয়ে আমার রাইডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।

honda cb hornet 160r cbs bike

আমি রাজশাহী ইউনিভার্সিটির এম . ফিল এর ছাত্র । আমি বাইক চালানো শিখেছি Xingfu 125 বাইকটি দিয়ে । বাইক চালানো শেখার পর থেকেই আমার বাইকের উপর নেশা হয়ে যায় । বাইকটি অনেক দিন ব্যবহার করি । এখনো আছে মাঝে মাঝে শখ করে চালানো হয় ।

বর্তমানে আমি Honda CB Hornet 160R CBS বাইকটি ব্যবহার করি । বাইকটি আমি ৭০০০ কিলোমিটার রাইড করেছি । যার মধ্যে আমার ভালো এবং খারাপ সব ধরনের অভিজ্ঞতাই রয়েছে । যদিও এখন পর্যন্ত ভালো অভিজ্ঞতাই বেশি ।

এখন বলবো হর্নেট বাইকটি কেন কিনলাম অথবা কেন এই বাইকটি আমার পছন্দ হলো । প্রথমেই বলে রাখি আমি একজন হোন্ডা ফ্যান । তাই বলে আমি অন্য কোন ব্রান্ডকে ছোট করছিনা ।

honda cb hornet 160r cbs bike headlight

আসলে আমি ২ টা বাইক পছন্দ করেছিলাম । জিক্সার এবং হর্নেট এর মধ্যে আমি হর্নেট বাইকটি বেছে নিয়েছিলাম । কারন হর্নেট এর মাসকুলার লুকস এবং স্পেশাল এডিশন এর হেডলাইট এর ডিজেইন আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে । এদিকে জিক্সার এর পিলিয়ন সিট আমার স্ত্রী নিয়ে রাইড করার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে ।

আমার হাইট ৬ ফিট ১ " আমার সাস্থ্যের সাথে জিক্সার এর থেকে হর্নেট মানানসই । তাই ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ রাজশাহী কে . আর বাইক সেন্টার থেকে নিয়ে নিলাম আমার পছন্দের  স্পেশাল এডিশন।

বাইক ক্রয় করার দিন আমি খুব এক্সাইটেড ছিলাম । আমি Honda CB Hornet 160R CBS বাইকটি কিনেছিলাম ১,৮৯,৯০০ টাকা দিয়ে সাথে ১০ বছরের রেজিস্ট্রেশন ও করেছি ।

honda cb hornet 160r cbs bike pic

বাইকটি কেনার পর থেকেই আমরা রেগুলার চলার পথের সাথী হয়ে উঠে । হর্নেট বাইক চালাতে আমার খুব কম্ফোর্ট লাগে , হোন্ডা এর ইঞ্জিন মানুষের কাছে প্রচুর আস্থাশীল । এর ইঞ্জিন অনেক রিফাইন করা যা রাইডিং এ স্মুথনেস বাড়িয়ে দেয় । এর সিটিং পজিশন অনেক আরামদায়ক যা রাইডিং করে তুলেছে মজাদার ।

বাইকটির পেছনে ব্যবহার করা হয়েছে ১৪০/৭০ সেকশন এর মোটা চাকা যা বাইকের কর্নারিং এবং ব্যালেন্সিংকে করেছে আস্থাশীল এছাড়া সিবিএস ব্রেকিং তো অছেই ।

যদিও আমি স্পিডিং পছন্দ করিনা তবুও আমি বাইকটিতে এখন পর্যন্ত ১০২ টপ স্পিড তুলতে সক্ষম হয়েছি । স্পিড আরো তোলা সম্ভব ছিল তবে আমি চেষ্টা করিনি । এক কথায় বাইকটির ব্রেকিং , কন্ট্রোলিং , কম্ফোর্ট অসাধারন ।

আমার কাছে বাইকটি হাইওয়ে রাইডের জন্য পার্ফেক্ট মনে হয়েছে । সিটি রাইডের থেকেও এই বাইকটি হাইওয়েতে রাইড করে পার্ফেক্ট মনে হয়েছে ।

honda cb hornet 160r cbs bike price

সিটি রাইডে মাইলেজ পেয়েছি ৪২-৪৫ এবং হাইওয়ে রাইডে মাইলেজ পেয়েছি ৫০ । ৫০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত 10w30 গ্রেডের হোন্ডার মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করেছি । ৫০০০ কিলোমিটার পর থেকে লিকুমলি 10w30 গ্রেডের সেমি সেন্থেটিক ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি।

এখন পর্যন্ত ৭০০০ কিলোমিটার বাইকটি রাইড করে শুধুমাত্র এয়ার ফিল্টার পরিবর্তন করেছি এছাড়া আমার কোণ কিছু পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয়নি ।

Honda CB Hornet 160R CBS বাইকের কিছু ভালো দিক -

  • বাজেট ফ্রেন্ডলি
  • কন্ট্রোলিং
  • কম্ফোর্ট
  • ব্রেকিং
  • মাইলেজ

Honda CB Hornet 160R CBS বাইকের কিছু খারাপ দিক -

  • গিয়ার শিফট হার্ড
  • হেড লাইটের আলো কম
  • কালার কোয়ালিটি
  • সুইচ কোয়ালিটি
  • চেইনের শব্দ

honda cb hornet 160r cbs

পরিশেষে বলবো হর্নেট একটি ভালো বাইক । আমি মনে করি এই বাজেটে এই বাইকটি কিনে কেউ হতাশ হবেনা ।

নিজে সচেতন থাকুন অন্যকে সচেতন হতে উৎসাহ প্রদান করুন । ধন্যবাদ ।

লিখেছেনঃ ফারিয মোহাম্মাদ দীপ্তক
 
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।