Shares 2

Keeway RKS 100cc – ওউনারশিপ রিভিউ লিখেছেন তানভীর

Last updated on 15-Sep-2022 , By Ashik Mahmud Bangla

বাইকের নামঃ আরকেএস প্রস্তুতকারকঃ Keeway (হাঙ্গেরি) সিসিঃ ১০০/১২৫ রংঃ সাদা/কালো/লাল আমদানীকারকঃ স্পিডোয লিঃ মূল্যঃ ১,১৭,০০০ টাকা।আমার সেই কৈশোর বয়স থেকে লালন করা স্বপ্ন নিজের একটি বাইকের। বাবা কখনই বাইক সাপোর্ট করত না, তাই দাঁত কামড়ে অনেকগুলো বছর পার করার পর মামার একটি ১ম জেনারেশন চাইনিজ বাইক নিয়ে ৩ বছর চালাই। গ্রাজুয়েশন শেষ করে চাকরীটা পাবার পরই বাইকের জন্য টাকা জমাতে থাকি এবং বাইক নিয়ে গবেষনা করতে থাকি (চলছে, চলবে)।

Keeway RKS 100cc – ওউনারশিপ রিভিউ

Keeway RKS 100 – ওউনারশিপ রিভিউ লিখেছেন তানভীর

বাইকের জন্য আমার ক্রাইটেরিয়াগুলো ছিল- ফুয়েল এফিশিয়েন্সি, স্পিড এন এক্সেলারেশন, এঞ্জিন, কন্ট্রোলিং এন ব্যালেন্স, মডার্ন ফিচারস, ডিজাইন, কোয়ালিটি, ডিউরাবিলিটি, ব্র্যান্ড সবশেষে রিজন্যাবল প্রাইস এবং এই সবগুলো আমার একসাথেই লাগবে!

প্রথমে অনেক বিবেচনা করে দেশী একটি ব্র্যান্ড চুজ করেলেও বাইক স্টাডির অনলাইন পর্ব শেষে ফিসিক্যাল স্টাডির জন্য মার্কেটে গিয়ে এই বাইকটা চোখে লেগে গেল, নজরকাড়া ডিজাইন আর সাধ্যের মধ্যে দাম আর সব আধুনিক ফিচারস ও আছে! বাসায় এসেই সব অপশন বাদ দিয়ে এটার পিছনে পরলাম এবং সব বিষয় পর্যালোচনা করে বাজেটের জন্য ওয়েট করতে লাগলাম এবং একদিন ফাইনালি কিনে ফেললাম! 

সেই দিনের, আগের দিন রাতের অনুভুতির কথা লিখতে গেলে আরেকটি লেখাই লিখতে হবে তাই বিস্তারিত বললাম না। বুঝতেই পারছেন... lets see Keeway RKS 100cc >>

চাইনিজ মোটর সাইকেল রিভিউ

১০০০ কিঃমিঃ হ্যাজ বিন ডান। এবার আসুন দেখা যাক আমার ভিসুয়াল এবং ইউসার রিভিউ- প্রথমেই যেকোন জিনিস আমরা দেখি সুতরাং চোখের নজর কতটুকু কাড়তে পারে এটি এবং ব্যাকগ্রাউন্ড দিয়ে সেটি ধরে রাখতে পারে কিনা দেখা যাক-

ডিজাইনঃ এক কথায় অসম্ভব সুন্দর। এরোডাইনামিক ডিজাইন, ভাইনিল উইথ লাভলি নেম ফন্ট। তিনটা রং-এ পাওয়া যায়, সব কয়টাই সুন্দর। রঙের কোয়ালিটি খুবই ভালো এবং স্ক্রাচ কম হয় (পুরনো বাইকগুলোর রং এখনো ভালো)। হেডলাইট আর রিয়ার লাইটের দিকে আপনার তাকিয়েই থাকতে ইচ্ছে করবে। বাইকের লেংথ-হাইট-ওয়াইড হাইয়ার সিসি বাইকের মত আর লুকটা হচ্ছে সেমি ন্যাকেড যা এটিকে একটি আইক্যান্ডিতে পরিণত করেছে।

ফুয়েল ট্যাংকি-টাকে দানবীয় বললে ভুল হবেনা, সেক্সি ডিজাইনের এই বিশাল ট্যাংক-টিতে ১৬ লিটার তেল ধরে। লুকিং গ্লাস বলুন, হ্যান্ডল গ্রিপ বলুন আর পেছনে ধরার বারটাই বলুন শার্প এন্ড ওয়েভ ডিজাইনের ছোঁয়া প্রতিটি পার্টসেই আছে। এটির ডিজাইন-ই রাস্তার অন্য বাইক থেকে এটিকে আলাদা করে দেয়। ইউ উইল ডেফিনেটলি ফিল ইট হয়েন ইউ রাইড ইট!

ফিচারসঃ সব আধুনিক ফিচারই এতে আছে। ডিজিটাল স্পিডোমিটার, স্টাইলিশ অ্যানালগ ট্যাকোমিটার, গিয়ার ডিস্প্লে, ফুয়েল লেভেল ডিস্প্লে এবং সেটিং বাটনস। ফ্রন্ট হাইড্রলিক ব্রেক, হাইড্রলিক ফ্লুইড ভিউয়ার, ডিসি হেডলাইট উইথ পাস লাইট এবং রিয়ার এলইডি লাইট এডেড বাই স্পোরটি এলইডি ইন্ডিকেটর লাইট।

কোয়ালিটিঃ বাইকের প্রতিটা পার্টস এবং ফাংশনেরই গুনগত মান খুব ভালো। বাটন থেকে শুরু করে গিয়ার বক্স পর্যন্ত সবই খুব স্মুথ! নো হিচখিচ!

ডিউরাবিলিটিঃ পুরনো বাইকগুলোকে ফ্রেশ এন্ড সাউন্ড দেখেছি। আমি যত্ন নেই বাইকের আর ‘রানিং ইন/ব্রেক ইন’ পিরিয়ড ও ঠিকঠাক মেনটেন করেছি; আশা করছি আমিও ডিউরাবিলিটি পাব। ফিঙ্গার ক্রসড!

চাইনিজ বাইক রিভিউ

ব্রান্ডঃ   ‘কীওয়ে’। এটি একটি মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড (অরিজিন ইন হাঙ্গেরি) যারা ইটালির ‘বেনেলি’ আর চীনের ‘কিয়াঞ্জিয়াং’ কোম্পানির সাথে পার্টনারশীপ করেছে বাইক ডিজাইন ও ম্যানুফ্যাকচারের জন্য। বেনেলি বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো (১৯১১) আর মডার্ন বাইক ম্যানুফ্যাকচারার যারা হাইএন্ড রেসিং বাইক বানায়, আর এরাই বেনেলির ইঞ্জিন থেকে শুরু করে বডির ফুল ডিজাইন করে থাকে অপরদিকে কিয়াঞ্জিয়াং চীনের টপমোস্ট একটি ব্র্যান্ড যাদের মাধ্যমে বাইক বানানোয় কীওয়ে’র বাইকগুলো রিজন্যাবল প্রাইসের। কীওয়ে’র বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ম্যানুফ্যাকচারিং এবং ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেল রয়েছে যার মাধ্যমে এরা বাংলাদেশসহ ৮০টি দেশে বাইক সরবরাহ করে একটি মাল্টিন্যাশনাল ব্রান্ডে পরিনত হয়েছে।

শুধু দেখলন, পছন্দ হল এবার চেখে দেখবার পালা যেটা আমাদের আসল উদ্দেশ্য। আসুন এবার দেখা যাক চালিয়ে এটি থেকে কেমন স্বাদ পাওয়া যায়-

স্পিড এন এক্সেলারেশনঃ  আমি ১০০ সিসি ভার্সন কিনেছি এবং আমি পরিপূর্ণ সন্তুষ্ট এর স্পিডে। আমি এখন পর্যন্ত ৯৩ তুলতে পেরেছি (ক্লাচ বারি ছাড়া)। ব্যাসিক্যালি ৮০কেএমপিএইচ চোখের নিমিষেই উঠে যায় এবং একটু পরেই ৯০! এরপর ধীরে ধীরে এক এক করে বাড়তে থাকে। আমার ধারনা এটির মাক্সিমাম স্পিড ১০০কেএমপিএইচ।

কন্ট্রোলিং এন ব্যালেন্সঃ এক কথায় অসাধারন! স্পিড হোক ৫-১০ কিংবা ৮০-৯০কেএমপিএইচ বাইকটা ব্যালেন্স করতে কোন সমস্যাই হয়না। হাই স্পিডে হার্ডব্রেক করলেও কোন সমস্যা হয়না।

ইঞ্জিনঃ  বাইকের ইঞ্জিনটি স্পোরটি এসওএইচসি যার নয়েজ এবং ভাইব্রেশন খুবই কম। ৮০কেএমপিএইচ এ চালালেও মনেই হয়না এতো স্পিড উঠেছে আর এক্সহস্ট পাইপ থেকে কোন সাউন্ড-ই হয়না শুধুমাত্র ইঞ্জিন থেকে একটা ভেরি লো ভলিউমের স্মুথ সাউন্ড হয়।

ফুয়েল এফিশিয়েন্সিঃ ১০০সিসি বাইকের ম্যাক্সিমাম ফুয়েল এফিশিয়েন্সিই পাচ্ছি আমি। আমার এভারেজ স্পিড থাকে ৬০ প্লাস ঢাকার ভেতর চালাবার পরও আমি লিটারে অন এন এভারেজ ৪৫কেএমপিএল পাচ্ছি (৪০-৫০)। যেহেতু নতুন ইঞ্জিন তাই তেল বাড়ানো রয়েছে, রানিং ইন পিরিয়ড শেষ হয়েছে এখন কমিয়ে ফেলব সো তখন এভারেজে ৫০কেএমপিএলই পাব আশা করছি।

রাইডিং পোশ্চারঃ বাইকের রাইডিং পোশ্চার স্ট্যান্ডার্ড; আপনি রেসিং অথবা কমিউটার দুই সেটআপেই বসতে পারবেন এবং বসলেই আপনার শরীর বাইকের বডির সাথে পারফেক্টলি এডজাস্ট হয়ে যাবে যেটা বাইক’কে কমফোরট্যাবল ফিল করতে খুব খুব কাজে দেয়। এছাড়া সিটিং পসিশনও খুবই আরামদায়ক, দীর্ঘক্ষণ চালালেও কষ্ট হয়না। পিলিয়ন রাইডারের সিটটি দুই ইঞ্চি উচু এবং এরগোনমিক যে কারনে বসতে খুব আরাম বোধ হয় এবং সেই সাথে গ্রিপিং লেদার দিয়ে বানানোয় হার্ড ব্রেক করলেও পিলিওনিয়ার স্কিড করে সামনে চলে আসে না।

সাস্পেনশনঃ বাইকের ফ্রন্ট সাস্পেনশন ইস সুপার! পেছনেরটি এভারেজ, আমি কিছুদিনের মধ্যেই স্টক চেঞ্জ করে নাইট্রোক্স সাস্পেনশন লাগিয়ে নিব তাহলে রাইডিং আরও কমফোরট্যাবল হয়ে যাবে।

চাইনিজ বাইকের দাম

রোড গ্রীপঃ  আরেকটি ওয়াও ফ্যাক্ট অফ দিস বাইক। হাই স্পিডেও এটি রাস্তার সাথে এটে থাকে এর এরোডাইনামিক বডি ডিজাইনের কারনে, এর ফ্রন্ট টায়ারের স্পোরটি ব্লকগুলো হাই স্পিডকে নাইসলি কন্ট্রোল করে আর চওড়া (১১০-১৭) রিয়ার টায়ারের বড় বড় ব্লকগুলো স্লিপারি রাস্তায় চলতে কনফিডেন্স দেয়।

সবশেষে এক কথায় বলব এটি একটি মনোমুগ্ধকর বাইক যা ডিজাইন, ফিচার, কোয়ালিটি, এফিশিয়েন্সি এবং প্রাইস সবদিক থেকেই অদ্বিতীয়। বাজারে এখনো পর্যন্ত ১০০সিসি সেগমেন্ট-এ এতো বেনেফিটস আর ফিচার সমৃদ্ধ বাইক আর একটিও নেই। এটিকেই সেরা বলতে আমার কোন দ্বিধা নেই। এই বাইকটি সম্পর্কে আমার সারমন্তব্যঃ ‘ইটস আ সেগমেন্ট বেস্ট বাইক’।

হ্যাপি বাইকিং

আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com - এই ইমেইল এড্রেসে।

Published by Ashik Mahmud Bangla

Best Bikes

Honda CB Hornet 160R

Honda CB Hornet 160R

Price: 169800.00

Honda CB Hornet 160R ABS

Honda CB Hornet 160R ABS

Price: 255000.00

Honda CB Hornet 160R CBS

Honda CB Hornet 160R CBS

Price: 212000.00

View all Best Bikes

Latest Bikes

CF Moto 250CL-C

CF Moto 250CL-C

Price: 429999.00

Rowwet Eleq

Rowwet Eleq

Price: 0.00

Rowwet Trono

Rowwet Trono

Price: 0.00

View all Sports Bikes

Upcoming Bikes

CF Moto 250CL-C

CF Moto 250CL-C

Price: 429999.00

AIMA AM-Snow Leopard

AIMA AM-Snow Leopard

Price: 0.00

AIMA AM-MINE

AIMA AM-MINE

Price: 0.00

View all Upcoming Bikes