TVS Apache RTR 160 বাইক নিয়ে লক্ষ কিলোমিটার রাইড - সাদ

This page was last updated on 21-Nov-2023 03:30pm , By Shuvo Bangla

আমি আশিকুজ্জামান সাদ আছি আপনাদের সাথে থাকি চট্টগ্রাম হালিশহর, গ্রামের বাড়ি ফেনী। আজ আমি আমার ব্যবহার করা TVS Apache RTR 160 বাইক নিয়ে মালিকানা রিভিউ শেয়ার করবো ।

tvs apache rtr 160 price in bd

২০১২ সালে আগের বাইকটি বিক্রি করে প্রথম আমার মামা টিভিএস শোরুম থেকে সবুজ রঙের অসাধারণ দেখতে একটা বাইক কিনে আনে। এই বাইকের সাথে সেটাই আমার প্রথম পরিচয়। অবাক হয়ে দেখছিলাম কত বড় বাইক ! একই সাথে এনালগ রেভ কাউন্টার, ডিজিটাল মিটার! ওইটা দিয়েই আমার হাতে খড়ি।

শিখার ক্ষেত্রে খানিকটা মামার মাইর খেয়ে জোর করে শিখতে হয় আমাকে! তখন আমি অষ্টম শ্রেণীতে পড়া একটা পাটকাঠির মত দেখতে বাচ্চা ছেলে। এই বাইক সামলাইতে আমার বেশ বেগ পেতে হত। ২০১৪ সালে ২৫ হাজার কিলোর আশেপাশে বাইকটি নিউ মার্কেট এরিয়া থেকে চুরি হয়।

tvs apache rtr 160

২০১৪ সালের একেবারে শেষের দিকে হলুদ রঙের ডাবল ডিস্কের নতুন একটা আর.টি.আর যেটা আসলে নতুন ১৫ এর মডেল ছিলো তেমন একটি ইউনিট আবার নিয়ে আসে মামা, যা এখনো আছে। চলেছে প্রায় ১ লাখ দশ হাজার কিলোমিটার! ২০১৭ এর শেষে আমি ম্যাট ব্লু রঙের সিংগের ডিস্কের আরেকটা ইউনিট নিজে ব্যবহারের জন্য কিনি।

বাইকটি ২০ হাজার কিলোমিটার চালাই। হলুদ রঙ এর ১৫ এর মডেলকে "হিমু" বলে ডাকি আর নীল আমারটার নাম "ফড়িং" আগা গোড়া এই দুটো গাড়ির গল্পই বলবো আজকে।

প্রথম রাইড অনুভূতি -

বাইক পারলেও শুকনো শরীর হওয়ায় পড়ে যাওয়ার ভয়ে চালাতে চাইতাম না। ১৫ এর মডেল হলুদটা কেনার পর প্রথম নিজ আগ্রহে এস.এস.সি পরিক্ষা চলাকালে ডিপ্রেশন কাটাতে বাইকটা চালাতে বের হই।  দিগন্তের উদ্দ্যেশ্যে দিগন্তের পথে..! অনেকটা এমন অনুভূতি ছিলো আমার।

৫০-৬০ গতিতে টোল রোডে সাগর দেখতে দেখতে স্বাধীনতার স্বাধ পাচ্ছিলাম। এতটাই ভালো লাগে যে আমার চোখে পানি এসে যায়। সেদিন বাসায় এসে এক নতুন 'আমিকে' আবিষ্কার করি! শুরু হয় আমার বাইকের প্রতি তীব্র আকাঙ্ক্ষা, ভালোবাসা।

tvs apache rtr 160 bike picture

লুকস -

দেখেন এটা যার যার মনের ব্যপার। তবে এই রেঞ্জে এতটা শার্প ভাইপার টাইপের স্পোর্টি দেখতে বাইক বাজারে এখনো দেখা যায় না । ম্যাট ব্লু একটা আর.টি.আর যদি পরিষ্কার অবস্থায় রাস্তায় দেখা যায় যে কেউ একবার তাকাবে। এটা খাঁটি সত্য একটা কথা। অন্তুত আমার মতে!

সিট কমফোর্ট -

রাইডার সিট, পিলিয়ন সিট নরম। বসে আরাম আছে তবে, কাভার লাগাইলে একসময় শক্ত হয়ে যায় কাভারটা। আর আমি আমার মা কে নিয়ে একটানা ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত চালিয়েছি সর্বোচ্চ। যেকোন ধরনের পিলিয়ন নিয়ে রাইড দেওয়া যাবে তবে পিলিয়ন বয়স্ক হলে গতি কম রাখতে হবে নাইলে ভাইব্রেশন ফিল হবে। আর রাইডার পজিশন হালকা স্পোর্টি। তবে শরীর ব্যাথা বা হাত ব্যাথা হয়না। নতুন রাইডার হয়ে থাকলে লং জার্নিতে ২-৩ দিন কবজি ব্যাথা হবে।

ইঞ্জিন পারফরম্যান্স - 

TVS Bike টি এই বাজেটে সেরা! বাইকটি নিয়ে আমি গিয়েছি বান্দরবান, থানচি, ডিম পাহাড়, রাংগামাটি, সাজেক, হাইওয়েতে সোজা রাস্তা, কড়া রোদ, ঘন কুয়াশা, ঝুম বৃষ্টি, আলহামদুলিল্লাহ সব রাস্তায় সব পরিস্থিতিতে চালিয়েছি। তবে কোথাও আমি কোন শক্তির কমতি পাইনি। আর এর ইঞ্জিন সাউন্ড কখনো খারাপ হয় না।

tvs apache rtr 160 bike price

মানে অন্তুত আমাদের ৩ টা বাইকের একটারও কোন রকম সমস্যা হয়নি। এমনকি আশে পাশের যে কয়টাই দেখেছি সর্বোচ্চ ট্যাপেডের আওয়াজ আসে, তবে এডযাষ্ট করে দিলেই আওয়াজ আবার আগের মত সুন্দর হয়ে যায়। এর ইঞ্জিন সাউন্ড হাই রেভে অনেক স্পোর্টি শুনায়।

বিশেষ করে ইঞ্জিন ব্রেকের সময় বেষ্ট একটা অভিজ্ঞতা দিবে। আর ইন্সট্যান্ট টর্ক বা রেডি পিকাপ অসাধারণ। যা এই বাজেটে অন্য কোনটার পাওয়া দুষ্কর। শহরের জ্যামে ওভারটেক বা ৮০-৯০ তে হাইওয়েতে ওভারটেক কোনটাতেই আপনার কনফিডেন্ট লেক করবেনা।

ভাইব্রেশন -

অন্য সব কিছুর মত এই বাইকে ভাইব্রেশনেরও কমতি নাই ।যেটা সত্যিই খারাপ পর্যায়ের ভাইব্রেশন। অন্য কোন বাইকে এতটা ভাইব্রেশন পাওয়া যায়না। তবে 10w30 গ্রেডের বিশেষ কোম্পানির ইঞ্জিন অয়েল এর মাধ্যমে ভাইব্রেশন অনেকটা কমানো সম্ভব। হাই স্পিডে এত জোরে ভাইব্রেশন দিবে মানে ১১৫-১২০ কিলোমিটার গতিতে এতটা বেশী দিবে।

ফুটপেক থেকে শুরু হয় সিট, হেন্ডেলবার আপনার পুরা শরীরে ছড়িয়ে যাবে। তবে ১১০ -১১৪ কিলো গতিতে এরকম ফিল হয়না। হঠাৎ করে বেড়ে যায় ১১৫ এর পর। প্রথম প্রথম ভাবতাম এটা বুঝি স্পোর্টস বাইকের একটা ফিচার! তবে নতুন ১৬০ সিসিতে অনেক অনেক কম ভাইব্রেশন, ১৫০ এর তুলোনায় প্রায় নেই বললেই চলে!

tvs apache rtr 160 bike

ব্রেকিং -

এর ব্রেক এই সেগমেন্টের বাকিদের থেকে দুর্বল। যেমন হুট করে গতি উঠে তেমন হুট করে থামেনা। ইঞ্জিন ব্রেকের বিকল্প নাই। ৫৫-৬০ পার হলেই ইঞ্জিন ব্রেক সহ হাতে পায়ের ব্রেক এপ্লাই করলে সবচেয়ে নিরাপদ থাকা যায়। আমার কাছের বন্ধুদের ফুল স্পোর্টস বাইক আছে। আমি ১০০ পর্যন্ত ওদের সাথে থাকতেতো পারি তবে ওদের সাথে ব্রেক করে একসাথে থামতে পারি না। সবসময় ভাবনা থাকে ব্রেক নিয়ে, তাই ওরা ব্রেক ধরার ২-৩ সেকেন্ড আগে অনুমান করে আমি ব্রেক ধরতে হয়।

ডাবল ডিস্কের চেয়ে এক্ষেত্রে আমি সিংগেল ডিস্ক প্রেফার করি এই বাইকে। হলুদটায় একবার ৭০-৭৫ গতিতে কড়া ব্রেক করে পিছের চাকা লক হয়ে যায় প্রায় দশ মিটার স্কিড করে সামনে এগিয়ে যাই, বাইকের উপর শক্ত হয়ে আকড়ে ধরে ব্যালেন্স করে পাথরের মত বসে ছিলাম পড়ে যাইনি।

সিংগেল ডিস্কে স্কিড করেনা পিছের চাকা। সামনের চাকা বৃষ্টি, বালি এগুলাতে অল্পতেই স্কিড করে যায়। যা আসলে অন্য সব ৯০ সেকশনের চাকার বাইকের ক্ষেত্রেও হয়ে থাকে।

tvs apache rtr 160 yellow

বিল্ড কোয়ালিটি -

বিল্ড কোয়ালিটি অনেক ভালো। এত বছরের RTR রাইডিং এক্সপেরিয়ান্সে একবারও আল্লাহর রহমতে আমি বা আমার মামা এক্সিডেন্ট করি নাই। আমার বাসা থেকে চট্টগ্রাম আউটার রিং রোড ২-৩ কিলো দুরুত্ব। সাগর পাড়ে সেই রিং রোডে হলুদটা নিয়ে একবার ৫৫ গতিতে একটা কুকুরকে বাঁচাতে গিয়ে গাড়ি হাত থেকে ছেড়ে দেই।

বাইক রাস্তায় ঘষে ৫-৭ মিটার দূরে গিয়ে থামে। হেলমেট, গ্লাভস থাকায় আমার কিছুই হয় নাই। বাইকের হেডলাইটে আঁচড় লাগে যা পরে বব করিয়ে নিয়েছি। আর কিছুই হয় নাই। এক্সিডেন্টটা আল্লাহর রহমতে ছোট হওয়ায় ব্যপারটা আজো আমার পরিবার জানেনা।

মাইলেজ -

আমি এতে আমার রাইডিং এর উপর ডিপেন্ড করে ২৬ কিলোমিটার প্রতি লিটারে মাইলেজ পেয়েছি আবার ৪৬ কিলোমিটারও পেয়েছি। আরপিএম ৫-৬ ম্যান্টেইন করলে ভালো মাইলেজ দেয়। আর সিটিতে এভারেজ ৩৯-৪০ পাবেন। আমি ট্যাংক ভর্তি করে চালাই বিধায় ১৫ লিটার তেল বা ১৩৩৫ টাকায় আমার ১৫০ কিলো ফেনী-চট্টগ্রাম হাইওয়ে সহ ৬০০ কিলোমিটার চলে।

মানে এভারেজ ৪০ কিলোমিটার মাইলেজ দেয় সিটি এবং হাইওয়ে মিলে। আর আমি প্রতিবার ট্যাংক ফুল করলে একবার বাড়ি যেতেই হয় হাইওয়ের ফিল নেওয়ার জন্য।

টপ স্পিড -

আমি আমার ব্লু কালার ১৭ মডেলটায় টপ স্পিড পেয়েছি ১২০ এর উপর উঠানোর সাহস করি নাই। কখন ফেলে দেই এই ভয়ে ছিলাম। আমার মামা ১৫ মডেল মানে হলুদটায় ১২৮ টপ স্পিড পেয়েছে। উনি আবার ভারী মানুষ 'গোলগাল' কিছুটা ওয়াসিফ আনোয়ার ভাইয়ের মত।

tvs apache rtr 160 blue and yellow

স্পেয়ার পার্টস -

RTR এর স্পেয়ার পার্টস পান সিগারেটের মত এভেইলেবল। আমার বাইকের ২০ হাজার কিলোমিটারে ইঞ্জিনের কোন কিছুই পরিবর্তন করতে হয়নি। ক্লাচ ক্যাবল পরিবর্তন করবো ভবিষ্যতে। ব্রেক প্যাড সামনেরটা একবার পরিবর্তন করা হয়েছে। করোনার সময় বসে থেকে ব্যাটারী একবার পরিবর্তন করা লাগছে।

টায়ারের গ্রিপ চলে গেছে। পরিবর্তন করতে হবে। ১৫ সালের হলুদটায় ৯০ হাজার কিলোমিটারে একবার ক্লাচ প্লেট পরিবর্তন করা হয়েছে। চেইন সেট পরিবর্তন করা হয়েছে ১ বার সম্ভবত ১৮০০ টাকা লাগছিলো। পেছনের চাকা পরিবর্তন করা হয়েছে ১২০ সেকশন মেসেটার টায়ার যার দাম ৬০০০ টাকা।


মিটার প্যানেল পরিবর্তন করেছি দাম ৪০০০ টাকার আশে পাশে। এয়ার ফিল্টার ৪ বার পরিবর্তন করা হয়েছে ৫০০ টাকার মত দাম । ব্যাটারী ২ বার পরিবর্তন করা হয়েছে। Castrol 10w30 এর দাম ৪৫০ টাকা। ইঞ্জিন অয়েল ফিল্টার ১০০ টাকা। হ্যাজার্ড বা ফোর ইন্ডিকেটর এর লাইন দেওয়া থাকে শুধু সুইচ লাগিয়ে কানেক্ট করা লাগে। হ্যাজার্ড জিনিসটা কাজের আবার দেখতেও অনেক 'কুল' লাগে, আমি আমারটায় সুইচ লাগিয়ে নিয়েছি। সস্তায় দামি ফিলিং এই আর.টি.আর থেকে সহজেই পাবেন।

বাইকের যত্ন নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা -

Castrol 10w30 মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল এই বাইকের সর্বোচ্চ স্মুথনেস দিয়ে থাকে। ট্যুরে না গেলে ৬০০-৭০০ কিলোতে একবার চেইন টাইট দিতে হয়। আর পাহাড়ে গেলে বাসায় এসে ইঞ্জিন ওয়েল লেভেল চেক করে রিফিল করে নেওয়া উচিৎ। লুকিং গ্লাসের রাবার গুলা খুলে যায় বা লুজ হয়ে যায় খুব জলদি। এয়ার ফিল্টার ৩-৪ হাজারে একবার পরিষ্কার করিয়ে নেওয়া উচিৎ।

১০ হাজার পর্যন্ত ইঞ্জিন অয়েলের সাথে ফিল্টার পরিবর্তন করে নিবেন। এরপর প্রতি ২ হাজারে একটা পরিবর্তন করলেই হবে যদি লং ট্যুরে না গিয়ে থাকেন। প্রথম দিকে একটু যত্ন নিলে আরামসে লাখ কিলো চালাতে পারবেন। অনেক রাফ চালালেও ইঞ্জিন থেকে হালকা টাইমিং চেইনের আওয়াজ শোনা যায়।

আর চেইনে গিয়ার অয়েল দিলে স্টিকিনেস বেশী কিলোমিটার পর্যন্ত স্থায়ী হয়। স্টকের আলো অত ভালো না এল.ই.ডি লাগিয়ে নিলে ভালো হবে। আমাদের দুইটাতেই মটো এল.ই.ডি লাগানো ৮০০ টাকা দিয়ে নিছিলাম ৬ মাস ওয়ারেন্টি থাকে।

রিজার্ভে প্রায় ২ লিটার তেল থাকে। ফুয়েল শেষের হলুদ বাতি জ্বলার পরও ৩০-৩৫ কিলোমিটার চালাতে পারবেন। হলুদ বাতি প্রথমবার জ্বলার পর ১৫ লিটার তেল ঢুকে ট্যাংকি ফুল করলে। ক্লাচ ক্যাবল থ্রটল ক্যাবল জ্যাম হলে লুব না করে পরিবর্তন করে ফেললে বেশী ভালো হয় নাইলে, কয়দিন পর পর জ্যাম হবে।

এই বাইক কপাল খারাপ থাকলে একবার পড়লেই বল রেসার নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয় চেঞ্জ করে নেওয়া উচিৎ সেরকম হলে। মিটারের সুইচ গুলা প্রথম প্রথম নরম থাকলেও ধীরে ধীরে শক্ত হয়ে যায়।

tvs apache rtr 160 price in bd

সার্ভিস - 

৩০০ কিলোমিটারে ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করি প্রথমে। এরপর ৫০০ কিলোমিটারে আবার ৫০০ এরপর ৭০০ এভাবে এখন ৯০০ কিলোমিটারে পরিবর্তন করি তবে ট্যুরে গেলে ৭৫০-৮০০ টাকার মধ্যে পরিবর্তন করে ফেলি।

আর ২০০০ কিলোমিটারে একবার ৬০০০ কিলোমিটারে একবার ১২০০০ কিলোমিটারে একবার সার্ভিস করাই। গাড়ির ম্যানুয়েল ফলো করার পর ১০০০০ পেরুলে ঠিক কখন সার্ভিস লাগবে তা আপনি নিজেই বুঝে যাবেন।

অন্যান্য -

হলুদটার পেছনের চাকা ১২০ লাগানো। এতে কন্ট্রোল কর্নারিং ভালো হলেও মাইলেজ, টপ হালকা একটু কমে। টায়ার পাল্টালে টিভিএস টায়ার না লাগানো ভালো। স্টকটা অত সুবিধার না। তবে কিনে মাত্র পরিবর্তন করে ফেলতে হবে এমন না। হলার লাগিয়েছিলাম সেই ক্ষেত্রেও মাইলেজ কিছুটা কমে যায়।

TVS Apache RTR 160 বাইকের কিছু ভালো দিক -

  • অসাধারণ লুকস
  • বাজেটের সেরা পিকাপ রেসপন্স
  • শক্তিশালী লং লাষ্টিং ইঞ্জিন
  • রাইডার, পিলিওন সিট কমফোর্ট
  • এত রেডি পিকাপ থাকার পরও ভালো মাইলেজ
  • বিল্ট কোয়ালিটি

TVS Apache RTR 160 বাইকের কিছু খারাপ দিক -

  • ব্রেকিং দুর্বল
  • ভাইব্রেশন বেশী
  • স্টক টায়ারের গ্রিপ ভালো না

মন্তব্য -

আপনি যদি একজন ধীরে সুস্থে ঠান্ডা মেজাজে বাইক চালানো রাইডার হন, কিন্তু কিছু সময়ে থ্রটলটা ঘুরিয়ে একটু ফিল নিতে চান হারিয়ে যেতে চান অজানায়, সময়ে কোথাও একটু জলদি যেতে চান, সময়ে ৭ হাজার আরপিএম ক্রস করে নিজেকে একটু স্বাধীন হিসেবে দেখতে চান সাথে একটা ইঞ্জিনের মিষ্টি কিন্তু হিংস্র গর্জন শুনতে চান, কিন্তু এই সবটুকু সুখ একটা স্বল্প বাজেটে নিতে চান ।

tvs apache rtr 160 bike picture

তবে  TVS Apache RTR 160 আপনার জন্য। তবে অবশ্যই অবশ্যই ব্রেকিং এর দিকটা মাথায় রেখে নিজের কন্ট্রোলে রেখে রাইড করা উচিৎ যেন পরদিন আবার থ্রটলের সাথে স্বাধীনতার স্বাধ নেওয়া যায়।

দেখেন বাইক জিনিসটা জীবিত ঘোড়ার মত অতিরিক্ত প্রেশার দিলে তাল না মিলিয়ে চললে যেমন ঘোড়া পিঠ থেকে ফেলে দেয় ঠিক তেমনি বাইকও সেকেন্ডের মধ্যে আপনাকে ফেলে দিবে। তাই বুঝে শুনে চালানো ভালো। বাকিটা আল্লাহ ভরসা ।

সবশেষ -

আমি লেখক নই একজন ট্যুরিস্ট বাইক রাইডার। জানি না কতটুকু বুঝাতে পেরেছি আমার অভিজ্ঞতা । ভূলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ।

লিখেছেনঃ আশিকুজ্জামান সাদ
 
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।

Best Bikes

Honda CB Hornet 160R

Honda CB Hornet 160R

Price: 169800.00

Honda CB Hornet 160R ABS

Honda CB Hornet 160R ABS

Price: 255000.00

Honda CB Hornet 160R CBS

Honda CB Hornet 160R CBS

Price: 212000.00

View all Best Bikes

Latest Bikes

QJ Motor SRC 250

QJ Motor SRC 250

Price: 0.00

QJ Motor SRC 500

QJ Motor SRC 500

Price: 0.00

Seeka SBolt

Seeka SBolt

Price: 0.00

View all Sports Bikes

Upcoming Bikes

Bajaj Pulsar NS400Z

Bajaj Pulsar NS400Z

Price: 460000.00

Bajaj Pulsar NS150

Bajaj Pulsar NS150

Price: 0.00

Bajaj Pulsar 400

Bajaj Pulsar 400

Price: 0.00

View all Upcoming Bikes