Suzuki Gixxer 155cc ৩৭,০০ কিলোমিটার রাইড - নাদিম হোসাইন
This page was last updated on 29-Jul-2024 04:15pm , By Raihan Opu Bangla
আমার নাম নাদিম হোসেন। আমি একজন একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমি লক্ষীপুর জেলার রায়পুর উপজেলায় বসবাস করি । আমার বাইক Suzuki Gixxer 155cc । বাইকটি আমি বর্তমানে ৩৭০০ কিলোমিটার চালিয়েছি। আজ আমি বাইকটির ব্যাপারে আপনাদের সাথে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।
এটি আমার জীবনে প্রথম বাইক এটা। এর আগে বন্ধুর বাইক ছিল, সারাদিন আমরা একসাথেই থাকতাম বাইকটি ছিল TVS Apache RTR আমি ওই বাইক চালাতাম ট্যুর দিতাম পরবর্তীতে নিজেই বাইক কিনে ফেলি। বাইকিং ছোটবেলা থেকে ভালোলাগে। আব্বুর বাইক ছিল ভাইয়ারও বাইক ছিল তা দেখে ছোট থেকেই বাইকের প্রতি একটা আগ্রহ-ভালোবাসা-আবেগ কাজ করতে শুরু করে। আমার পুরো দেশ ঘুরে দেখার স্বপ্ন তাই বাইকই আমার সাথী করে নিয়েছি। Suzuki Gixxer 155cc বাইকটি কেনার কারণ ২লক্ষ টাকার ভিতর আমার কাছে ব্রেক-কন্ট্রোল সবকিছু মিলিয়ে এইটাই বেষ্ট মনে হয়েছে। তাই আমি Suzuki Gixxer 155cc নিয়েছি।
Click To See Suzuki Gixxer 155 Double Disc Edition Price In Bangladesh
তখন আমার বইকের দাম ছিল ২ লক্ষ টাকা পরবর্তীতে কাগজের টাকা সহ দাম হয় ২লক্ষ ১৬ হাজার টাকা। বাইকটি আমি নিয়েছি লক্ষীপুরের রায়পুর উপজেলার ডিলার রুপালি ইলেকট্রনিক থেকে।
আসলে আমি বাসায় বাইকের কথা বলি। আব্বু বলছে কিছু দিন পরে, প্রতি দিনের মত সকালে উঠে কলেজে চলে যাই আমি, কলেজ থেকে দুপুরে বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে রেস্ট নিচ্ছিলাম। আব্বু বিদেশ থাকে যার জন্য আম্মু এসে বলে চল বাজারে যাবো আমি ও যাই। আম্মু-ভাইয়া আমি কলেজ থাকা অবস্থাই বাইক দেখে এসেছে। পরে আমাকে নিয়ে কিনে দিলো যা আমার জীবনের স্মরণীয় দিন ছিল । বাইকটি প্রমথবার চালানোর অনুভুতি আসলে বলে বুঝানোর মত না আমার মনে হচ্ছিলো আমি যেনো এক স্বপ্নের মধ্যে আছি । এই অনুভুতি গুলো হয় সব কিছুর থেকে আলাদা । আমি প্রথমেই বলেছি আমার ছোট থেকে দেশ ঘুরার স্বপ্ন তাই ৬৪ জেলায় আমার বাইকের চাকা স্পর্শ করার জন্যই কিনা এবং আমার কলেজ আমাদের বাসা থেকে ৭ কিলোমিটারের দূরত্ব সবমিলিয়ে এই দুইটা কারনেই আমি বাইকটি কিনেছি ।বাইকটি দেখতে বেশ সুন্দর এবং স্টাইলিশ। বাইকের বডি ডিজেইন চমৎকার এবং ভিন্ন ডিজাইন যা দেখতে অসাধারণ। প্রতিদিন বাইক চালানোর সময় মনে একটা অন্যরকম শান্তি কাজ করে। মন খারাপ থাকলেও ভালো হয়ে যায়। এখন কলেজ বন্ধের কারণে প্রতিদিনই ঘুরতে বের হই। এখন পর্যন্ত আমি ৩ বার সার্ভিস করিয়েছি শো-রুম থেকে ৪টি ফ্রী সার্ভিস আছে যার জন্য শো-রুম এই করিয়ে থাকি।
আমি ২৫০০ কিলোমিটার এর পুর্বে ৩৫ কিলোমিটার প্রতি লিটার মাইলেজ পেয়েছি এখন ৪০ কিলোমিটার প্রতি লিটার মাইলেজ পাচ্ছি। আমি বাইকে সপ্তাহে ১ বার ফোম ওয়াস করাই আর প্রতিদিন বের করে ভালো করে পরিস্কার করি । আমি বর্তমানে মটুল ইঞ্জিন অয়েলটি ব্যবহার করছি গ্রেড 20w40। আমার বাইকের ব্যাটারি পরিবর্তন করেছি। কারণ আমি ভুল করে একদিন বাসায় বাইক চাবি অন করে রেখেছিলাম যার জন্য ব্যাটারি ড্যামেজ হয়ে গিয়েছিল পরে চার্জ দিয়েছি কয়দিন ঠিক ছিল পরবর্তিতে সেলফ এ সমস্যা করতো তাই পরিবর্তন করে ফেলি ।আমার বাইকে কোন মডিফিকেশন করিনি। আমি এখন পর্যন্ত ১১৭ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা টপ স্পিড পেয়েছি যদিও আমার সেফ রাইড করতে ভাল লাগে।
বাইকটির কিছু ভালো দিক -
- লুকস
- রেডি পিকাপ
- কমফোর্ট
- মোটা চাকা
- কন্ট্রোলিং
বাইকটির কিছু খারাপ দিক -
- হেড লাইটের আলো কম
- ইঞ্জিন গরম হয়ে যায়
- মাইলেজ কম
আমি একটি উপজেলা এড়িয়ায় থাকি যেই কারনে নাম্বার পেতে এমনিতেই ৩ থেকে ৪ মাস সময় লাগে এর মধ্যে লকডাউন যার কারনে BRTA নাম্বার করাতে সময় নিচ্ছে । এই কারণে লং ট্যুর ও করা হয়নি । বাইকটি নিয়ে আমি সন্তুষ্ট । ভালোবাসার কোনো বর্নণা হয় না। আমাকে ভালোই সার্ভিস দিচ্ছে,আর বাইকিং ভালোবাসায় পরিণত হয়েছে ক্ষুদ্র একজন বাইকার হয়ে মতামত দিলাম আর যা বলেছি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলেছি । ধন্যবাদ।
লিখেছেনঃ নাদিম হোসাইন
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।