Lifan KPR 150 v2 ২০,০০০ কি.মি. মালিকানা রিভিউ - নুরুজ্জামান নুর

This page was last updated on 08-Jul-2024 11:37pm , By Saleh Bangla

Lifan KPR 150 v2 যা বতর্মানে বাংলাদেশের বাজারে ১৫০ সি সি সেগমেন্ট এর অন্যতম সেরা একটি স্পোর্টস বাইক যা বাজেট ও লুকস ও পারফরমেন্স এর দিক দিয়ে ইতি মধ্যে বাংলাদেশের বাইকারদের মন জয় করে নিয়েছে। আমি আমার Lifan KPR 150 v2 ক্রয় করি ৫ মে ২০১৭ তে রাসেল ইন্ডাস্ট্রি থেকে এখন পর্যন্ত যা আমি রাইড করেছি ২০,০০০ কি মি।

Lifan KPR 150 v2 ২০,০০০ কি.মি. মালিকানা রিভিউ

  Lifan KPR 150 v2 ক্রয় এর পর আমি ২০০০ কিমি সঠিক ভাবে ব্রেক ইন ফলো করি।। ব্রেকইন পিরিয়ড সহকারে ৩০০০ কিমি পর্যন্ত আমি মতুল 20w40 গ্রেড তারপর থেকে মতুল 10w40 ব্যবহার করেছি ১৯,০০০ কিমি পর্যন্ত এখন আবার মিনারেল এ শিফট করেছি। ১৯,০০০ কিমি পর্যন্ত আমি মাইলেজ পেয়েছি এভারেজ ৩২ এখন মিনারেল এ শিফট করে মাইলেজ পাচ্ছি সিটিতে ৩৫ এবং হাইওয়েতে ৪০। Lifan KPR 150 v2 এর খারাপ দিক আমার কাছে যা মনে হয়েছে তা হল এর পিছনের মনোশক এবজারবার প্রথম দিকে একটু হার্ড পরে প্রায় ৫,০০০ কিমি চালালে সফট হয়ে জায় তখন খুব একটা সমস্যা হয় না। আর সিটি রাইডিং এর ক্ষেত্রে  টার্নিং রেডিয়াস একটু সমস্যা হলেও হাইওয়ে রাইডিং এর জন্য পারফেক্ট। গিয়ার শিফটিং এ প্রথম দিকে একটু শক্ত থাকেলে ও আস্তে আস্তে তা সফট হয়ে জায়। আমার বাইকের গিয়ার এখন সুপার স্মুথ। এর গ্রাউন্ড ক্লিয়ারয়েন্স একটু কম যার ফলে উচু স্পিড ব্রেকার একটু সাবধানে পার হতে হয়। এর ওয়ারিং এর তার গুলো খুবই নিম্নমানের যার ফলে অনেক সময় ছোট খাটো ভোগান্তি পোহাতে হয়। 

 Lifan KPR 150 v2 বাইকের গতি ও পারফরমেন্স এ আমি মুগ্ধ। এই পর্যন্ত আমি টপ স্পিড পেয়েছি ১৩৫ কিমি / ঘন্টা সম্পুর্ন স্টক অবস্তায়।এর লিকুইড কুল্ড ৬ গিয়ার সম্পন্ন শক্তিশালি ইঞ্জিন আমাকে নিশ্চিন্তে পথ চলার দুরদান্ত সাহস দিয়েছে।। এর এল ই ডি প্রজেকশন হেড লাইট আমাকে হাই বিম এবং লো বিম এ নাইট রাইডিং এ খুব ভাল সাপোর্ট দিয়েছে। এর বডি বিল্ড কোয়ালিটি খুবই ভাল যাতে উন্নত মানের প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়েছে। এর স্টক সি এস টি টায়ার যা আমি ১৮,০০০ কিমি ব্যবহার করি তারপর আমি টিমসান স্টার স্টক সাইজ টায়ার ইন্সটল করি যা আমাকে স্টক সি এস টি টায়ার এর থেকে অনেক ভাল সাপোর্ট দিয়েছে কর্নারিং অন রোড অফ রোড সব জায়গায়। টপ স্পিড এ এর কন্ট্রোল খুব ভাল। সামনে এবং পিছনে ডিস্ক ব্রেক আমাকে কনফিডেন্ট সহকারে ব্রেক করতে সাহায্য করেছে। 

আর রাসেল ইন্ডাস্ট্রির সার্ভিস নিয়ে আমি সব সময় সন্তুষ্ট। যেকোন ধরনের সমস্যা তারা অতি যত্ন সহকারে সব সময় সমাধান করে। স্পেয়ার পারটস এর দাম আগের তুলনায় এখন বাড়ানো হয়েছে যা মোটেও আমার কাছে যুক্তি সংগত মনে হয়নি। KPR  এর চেইন রাবার টা নিয়ে আমি অসন্তুষ্ট। যা কোয়ালিটি রাসেল ইন্ডাস্ট্রি চাইলে আর ভাল মানের করতে পারে। যেখানে ইন্ডিয়ান বাইকের চেইন রাবার ছিরে গেছে এমন ঘটনা শুনা যায় না। সেখানে KPR রাইডার অনেকের ৫০০০ কিমি চেইন রাবার ছিরে গেছে গল্প শুনেসি। আমার ৯০০০ কিমি প্রথম ছিরেছে তারপর ১৬,০০০ কিমি আবার ছিড়েছে। 

 এই পর্যন্ত সামনের চাকায় ৩ বার ও পিছনের চাকায় ২ বার ব্রেক পেড চেঞ্জ করেসি। স্পার্ক প্লাগ ১ বার ও এয়ার ফিল্টার ২ বার চেঞ্জ করেছি। কুলেন্ট ২ বার চেঞ্জ করেছি। ক্লাচ কেবল ও এক্সেলেরেশন কেবল ১ বার চেঞ্জ করেছি। বলে রাখা ভাল আমি সেফটি ইসুতে উল্লেখিত চেঞ্জের ভিতর অনেক কিছু করেছি যা আমি ইচ্ছে করলে আর বেবহার করতে পারতাম। সব কিছুর পর ও আমি আমার KPR 150 v2 নিয়ে সন্তুষ্ট। আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি রাসেল ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক Nurul Abser Rasel ভাইকে যিনি বাংলাদেশে এত কম দামে এই ফিচার সমৃদ্ধ Lifan KPR 150 স্পোর্টস বাইক বাংলাদেশে আনার জন্য। সকল বাইকার ভাইদের উদ্দেশ্যে বলছি, ভাল মানের হেলমেট ব্যবহার করুন নিরাপদে পথ চলুন।  সময়ের চাইতে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। আমার এই লিখা সম্পুর্ন আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে। অনেকের সাথে হয়তোবা নাও মিলতে পারে।। আমার লিখায় অনেক ভুল হতে পারে দয়া করে ক্ষমা সুন্দর দৃস্টিতে দেখবেন।।  

লিখেছেনঃ-  Nuruzzaman Nur 

  আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।