Bajaj Pulsar 150 Twin Disc ABS ১৫০০০ কিলোমিটার রাইড - পল্লব
Published On 29-Dec-2022 12:29pm , By Shuvo Bangla
আমি মাহমুদ হাসান পল্লব । আমি একটি Bajaj Pulsar 150 Twin Disc ABS বাইক ব্যবহার করি । বাইকটি নিয়ে আমি আমার রাইডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।

বাইকটি ছিল আমার লাইফের প্রথম বাইক। বাইক কেনার দিনটা সবার কাছে স্মৃতি হয়ে থাকে আমার কাছেও ঠিক তেমনি। এতটাই এক্সাইটেড ছিলাম যে বাইক কেনার আগে রাতে ঘুমাতে পারিনি। বাইক নেওয়ার দিন বাজাজ এর শোরুমে সাথে আমার মাকে নিয়ে যাই। মা আমাকে বাইকটি কিনে দেয়।
বাইক নেয়ার কারণ -
৯০ দশকের তরুণদের কাছে বাজাজ পালসার ছিল একটা ভালোবাসা। আমার কাছেও তার ব্যতিক্রম নয়। হাতে অন্য অপশন ছিল অন্য বাইক চয়েজ করার কিন্তু পালসার ছিল একটা ভালবাসা তাই অন্য অপশনে আর যাইনি।

বাইকটি প্রথম চালানোর অনুভূতি -
নিজের প্রথম বাইক এবং প্রথম পিলিয়ন যখন মা এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। অসাধারণ একটা অনুভূতি ছিল। বাজাজ এর বাইকগুলো কম বেশি সবারই পছন্দের ।

আমার বাইকটি ১৫ হাজার কিলোমিটার রাইড করেছি আলহামদুলিল্লাহ এখন পর্যন্ত বড় রকমের কোনো সমস্যা হয়নি। এখন পর্যন্ত মাস্টার সার্ভিস করেছি তিনটা একবার শুধু ক্লাসপ্লেট পরিবর্তন করতে হয়েছে। আমার বাইকে Havoline 20W50 গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি খুব ভালো মানের একটা ইঞ্জিন অয়েল বাইক খুব স্মুথ রাখে। বাইকে মাইলেজ পাচ্ছি ৪৪+ ।
Bajaj Pulsar 150 Twin Disc ABS বাইকের ভালো দিকগুলো -
- চাকার সাইজ আগের পালসার থেকে বড় তাই ভালো গ্রিপ পাওয়া যায়
- ডাবল ডিক্স হওয়ায় ব্রেকিং কনফিডেন্স পাওয়া যায়
- পালসার এর থেকে এর রাইডিং পজিশনটা ভালো লাগছে
- যে মাইলেজ পাচ্ছি তাতেই আমি সন্তুষ্ট
Bajaj Pulsar 150 Twin Disc ABS বাইকের খারাপ দিকগুলো -
- পাওয়ার তুলনামূলক কম মনে হয়েছে
- আগের পালসার থেকে ওজন বেশি
- কিকার নেই
- পেছনের ডিক্স ব্রেক বেশি একটা ভাল মনে হয় নি
আমার পালসার নিয়ে ৩৫০+ কিলোমিটার এর একটা লং রাইড শেয়ার করবো -
লং রাইড এর জন্য পালসার আমাকে অনেক সাপোর্ট দিয়েছে আমাকে এক মুহূর্তের জন্য হতাশ করেনি এর রাইডিং পজিশনটা সুন্দর থাকার কারণে কোন প্রকারের ব্যাকপেইন অনুভব করিনি। গন্তব্যে ভালো ভাবে পৌঁছানোটাই আমার কাছে মুখ্য তাই বাইকের বেশি টর্ক থাকাটা আমার কাছে মূখ্য নয়। ওভারঅল বাইকটি নিয়ে আমি অনেক সন্তুষ্ট। ধন্যবাদ ।