বাইক বিডিতে টেস্ট করা সেরা কমিউটার মাইলেজ বাইক । বিস্তারিত

This page was last updated on 28-Jul-2024 01:16am , By Raihan Opu Bangla

আমাদের দেশে অনেক কমিউটার মাইলেজ বাইক আছে। কিন্তু আজ আমরা বাইক বিডিতে টেস্ট করা সেরা কমিউটার মাইলেজ বাইক আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। আমরা ওই সকল বাইককে আজকের লিস্টে রাখছি যে বাইকগুলো আপনি এখনো শোরুম থেকে ব্রান্ড নিউ কিনতে পারবেন।

সেরা কমিউটার মাইলেজ বাইকঃটিভিএস রেডিয়ন

TVS Radeon

TVS Radeon একটি ১১০ সিসি কমিউটিং বাইক। এর ইঞ্জিনটি এয়ার কুলড এবং বিএসফোর স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করে। বাইকটির ইঞ্জিন ৮.২ বিএইচপি শক্তি এবং ৮.৭ নিউটন মিটার টর্ক উৎপন্ন করে। বাইকটির ইঞ্জিনটি খুবই স্মুথ, এবং এটি ৮০ কিমি/ঘন্টা পর্যন্ত খুব স্মুথলি এক্সেলেরেট করে। TVS Radoen বাইকটির স্টাইলিং গড়পড়তা বাইকের চাইতে কিছুটা অন্যরকম। আমাদের টেস্টিং পিরিয়ডে আমরা টপ স্পীড পেয়েছি ১১০ কিমি/ঘন্টা।

Tvs Radeon Mileage

আমরা হাইওয়েতে TVS Radeon থেকে ৬০ কিমি/লিটার মাইলেজ পেয়েছি, তবে সিটিতে আমরা মাইলেজ পেয়েছি ৫০-৫২ কিমি/লিটার।হিরো 

Hero Ignitor

হিরো ইন্ডিয়ার নাম্বার ১ মোটরসাইকেল ব্রান্ড। Hero Ignitor বাজারে এসেছে এর i3S টেকনোলজি নিয়ে, এটি হিরোর একটি পেটেন্ট টেকনোলজি । তারা বিশ্বাস করে যে এই টেকনোলজি ব্যবহার করলে বাইকের অনেক ফুয়েল সাশ্রয় হবে। এই বাইকে ব্যবহার করা হয়েছে ১২৫ সিসি এয়ার কুলড সিঙ্গেল সিলিন্ডার ভার্টিক্যাল ইঞ্জিন যা ১১ বিএইচপি @ ৭৫০০ আরপিএম পাওয়ার এবং ১১ এনএম @ ৬৫০০ আরপিএম টর্ক উৎপন্ন করে । 

হিরো এই বাইকটির স্টাইল ও ডিজাইনের জন্য অনেক সময় ব্যয় করেছে । বাইকটিতে একটি হ্যালোজেন হেডলাইট দেয়া হয়েছে, তবে সেটি এসি অপারেটেড ।

যদি i3S টেকনোলজি অন করা থেকে তবে ট্রাফিক জ্যামের মধ্যে আপনি ১০ সেকেন্ড বসে থাকেন তাহলে ইঞ্জিন অটোমেটিকলি অফ হয়ে যাবে ।

Hero Ignitor Mileage

টেস্ট রাইডের সময় Hero Ignitor বাইকটি থেকে আমরা হাইওয়েতে মাইলেজ পেয়েছি ৫৮-৬০ এবং সিটিতে রাইডের সময় আমরা মাইলেজ পেয়েছি ৫২-৫৫ । এই মাইলেজ পেয়েছি আমি স্বাভাবিক ভাবে রাইড করে, আপনি এগ্রেসিভ রাইড না করলে এমন মাইলেজ পাবেন বলে আশা রাখি ।hero passion x pro ঢাকা

Hero Passion X Pro

হিরো বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় টু হুইলার ব্র্যান্ড। Hero Passion X Pro সর্বপ্রথম দেখানো হয়েছিলো ২০১৯ সালের ইন্দো বাংলা অটোমোটিভ শোতে। বাইকটি ডিজাইন করা হয়েচ্ছে একটি এক্সিকিউটিভ কমিউটার হিসেবে, এবং টার্গেট করা হয়েছে সেসকল বাইকারদের, যারা ১১০ সিসি সেগমেন্টে সুলভ মূল্যে একটি স্টাইলিশ কমিউটার মোটরসাইকেল কিনতে চান। 

হিরো প্যাশন এক্স প্রো বাইকে দেয়া হয়েছে ১১০ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কুলড ইঞ্জিন। ইঞ্জিনটি ৯.৪ বিএচপি শক্তি এবং ৯ নিউটন মিটার টর্ক উৎপন্ন করে, এবং এর সাথে রয়েছে একটি ৪-স্পীড গিয়ারবক্স। বাইকটিতে I3S টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে।

Hero Passion X Pro mileage

ঢাকা শহরে আমরা মাইলেজ পেয়েছি ৫০ কিমি/লিটার, এবং হাইওয়েতে ৫৫ কিমি/লিটার মাইলেজ পেয়েছি। এখানে উল্লেখ করা ভালো যে, ঢাকা শহরে বাইকটি টেস্ট করার সময় রাইডিং স্টাইল ছিলো সেইফ এবং ধীর, এবং হাইওয়েতে রাইড করার সময় সুযোগ পেলেই বাইকের স্পীড ৮০ কিমি/ঘন্টায় চালানো হয়েছে। বাইকটি ২০০০ কিলোমিটার রাইড করার পরে আপনি বাইকের আসল মাইলেজ পাবেন।yamaha saluto price in bd 2017

Yamaha Saluto

বাইক বিডিতে টেস্ট করা সেরা কমিউটার মাইলেজ বাইক এর মধ্যে Yamaha Saluto একটি।  কমিউটার সেগমেন্টের মোটরসাইকেল মূলত ডিজাইন করা হয় মোটামুটি সব ধরনের সব বয়সের চালকদের কথা বিবেচনা করে। স্যালুটোর সামনে ও পেছনের দুজোড়া সাসপেনশনই বেশ ভালো আর যথেষ্ট সংবেদনশীল। 

স্যালুটোর দুটো চাকাতেই রয়েছে টিউবলেস টায়ার। স্যালুটোর ১২৫সিসি এয়ার-কুল্ড এসওএইচসি ইঞ্জিনটি সহজেই ৮.৩পিএস পাওয়ার আর ১০.১এনএম টর্ক উৎপন্ন করে।

স্যালুটো বাইকটিতে আমরা টপ-স্পিড পেয়েছিলাম সর্ব্বোচ্চ ১০৫কিমি/ঘন্টা যা তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম। তবে বিশেষভাবে উল্লেখ করার বিষয় হলো এত খুব সহজে কোন আয়াস ছাড়াই ৯৫কিমি/ঘন্টা গতি তোলা যায়।

Yamaha Saluto Mileage

স্ট্রেইট হাইওয়ের স্মুথ রাইডিংয়ে আমরা Yamaha Saluto বাইকটি থেকে মাইলেজ পেয়েছি প্রায় ৭০কিমি/লিটার। ব্যস্ত শহরের রাস্ততায় মাইলেজ পেয়েছি প্রায় ৬০কিমি/লিটারের ওপরে। আর পাহাড়ী পথে ভারী পিলিয়ন নিয়ে বাজেভাবে চালিয়ে মাইলেজ পেয়েছি সবচেয়ে কম, আর সেটা ছিল ৫২কিমি/লিটার। 

সুতরাং আপনারা বুঝতেই পারছেন স্যালুটো মাইলেজের পারফর্মেন্সে কতটা ডেডিকেটেড। এই ছিলো বাইক বিডিতে টেস্ট করা সেরা কমিউটার মাইলেজ বাইক নিয়ে আজকের আলোচনা। সব সময় নিয়ন্ত্রিত গতিতে বাইক রাইড করুন।