শীতের সকাল বেলা মাত্র কয়েক ঘন্টায় ঘুরে আসুন ঢাকার এই জায়গা থেকে
Published On 02-Jan-2023 12:20pm , By Ashik Mahmud Bangla
শীতের সকাল মানেই অন্য রকম এক ভালোলাগা , আর আমাদের দেশে শীত খুব কম সময় থাকে। আর তাই এই সময়টাতে যে যেভাবে পারে নিজের মতো টাইমটা উপভোগ করতে চায়। সাজেক , কক্সবাজার , সিলেট এই জায়গাগুলোতে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা আমাদের সবার থাকে। কিন্তু সময় সুযোগ কখনোই দুইটা একসাথে মিলানো সম্ভব হয় না। তাই যারা দূরে যেতে পারেন না , শীতের সকালে মাত্র কয়েকঘন্টায় ঘুরে আসতে পারেন ঢাকার এই জায়গা থেকে।

শীতের সকাল বেলা এই জায়গায় যা যা দেখতে পাবেন
যদি আপনি সকাল ৭ টায় যেতে পারেন তাহলে দেখতে পাবেন ঘন কুয়াশা। এই জায়গায় কুয়াশার পরিমাণ এতো বেশি থাকে যে আপনার একবারও মনে হবে না আপনি ঢাকায় আছেন। গ্রামের মধ্যে দিয়ে চলে গেছে আঁকাবাঁকা পাকা সড়ক আর চারপাশে শুধু কুয়াশা। আর এই কুয়াশার ফাকে উকি দিবে হলুদ সরিষার খেত। আপনি যদি মাত্র কয়েক ঘন্টা সময় বের করতে পারেন তাহলে আপনার এই সকালটা সব সময় স্মরণীয় হয়ে থাকবে।


কি কি খাবার পাওয়া যায় ?
গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে রাইড করে আসার পর সকালের নাস্তায় খেয়ে নিতে পারবেন গরম খিচুড়ি , সাথে আছে হরেক রকমের ভর্তা। বাজারে পেয়ে যাবেন শীতের ঐতিহ্যবাহী খেজুরের রস। এই সব খাওয়া শেষ করে আপনার হাতে সময় থাকলে আপনি খেয়ে নিতে পারেন গরম গরমখাটি গরুর দুধের চা। এই পুরো সকাল আপনার জীবনে এক নতুন অভিজ্ঞতা যুক্ত করবে। ঢাকার এই যান্ত্রিক জীবনেও যে এমন ভিন্নতা আনা যায় সেটা আপনি এই রাইড না দিলে বুঝবেন না। আর শীত চলে যাবে তাই দেরী না করে বেরিয়ে পরুন।
শীতের সকাল বেলা মাত্র কয়েক ঘন্টায় ঘুরে আসুন এই জায়গা থেকে
জায়গাটা হচ্ছে ঢাকার কেরানীগঞ্জ , গ্রাম আর শহরের এক মিশ্র নগরী। আপনি আপনার বাইক নিয়ে বছিলা সড়ক ধরে এগিয়ে যেতে থাকুন সামনের দিকে। তারপর মধুসিটি ফুডকোর্ট পার হয়ে চলে যান ডান দিকে এই সড়ক দিয়ে কিছুটা এগিয়ে হাতের বামে একটা সড়ক ঢুকে। এই সড়ক ধরে রহিতপুরের দিকে এগিয়ে যান। শীতের সকালে এই সম্পূর্ণ সড়ক এক ভিন্ন রূপে সাজে। রহিতপুর গিয়ে আপনি ইনসার আনীর খুদের ভাত এবং উপরিউক্ত খাবারগুলো খেতে পারবেন।
ঘুরে এসে অবশ্যই আপনার অভিজ্ঞতার গল্প কমেন্টের মাধ্যমে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে থাকতে পারে নিজের প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে ভোর বেলা এদিকে যাওয়া কতটা নিরাপদ ? আমি মাঝে মাঝে এই সড়ক দিয়ে দিনে এবং গভীর রাতে চলাচল করি , আমার কাছে আজ পর্যন্ত এই সড়ক অনিরাপদ মনে হয় নি। তবে ঘন কুয়াশায় দূর্ঘটনা এড়াতে বাইকের লাইট জ্বালিয়ে রাখুন।