Shares 2

Honda Activa 110 ৫৫,০০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ - তরিকুল

Last updated on 15-Jan-2024 , By Shuvo Bangla

আমি মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম। আমি ঢাকা বসবাস করি ,আজ আপনাদের সাথে আমার প্রথম মোটরসাইকেল Honda Activa 110 এর মালিকানা রিভিউ শেয়ার করবো।

যে কারণে আমি টু-হুইলারে চড়তে পছন্দ করি তার অন্যতম প্রধান কারন হল শহরের চারপাশে যাতায়াতের সেরা বিকল্প মাধ্যম হচ্ছে এটি। যে কোনও সময় যে কোনও জায়গায় ঢাকার ওলিতে গলিতে স্কুটার নিয়ে খুব সহযে যাওয়া যায় ।

২০১১ সালে আমার বাবা এই স্কুটারটি কিনেছিলো ৷ তখন দাম ছিল ৯০,০০০ টাকা ৷ এটি বেছে নেওয়া কারন ছিল এর কম্ফোর্টনেস ৷ কোন গিয়ার নেই অটো গিয়ার এর কারনে আমি এই স্কুটারটি বেশি পছন্দ করি । ক্লাচ এবং গিয়ার নিয়ে কোন চিন্তা করার দরকার হয়না ৷ ভারতের মানুষ এই মোটরসাইকেলটিকে সব থেকে বেশি পছন্দ করে যে কারনে এটি ভারতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় ৷

যেহেতু এটি বাংলাদেশে খুব বেশি পাওয়া যায়না , তাই সব ধরনের সার্ভিস সেন্টারে এটা সার্ভিস করাইনা । তাই আমি বেশিরভাগ সময় নিজেই সার্ভিস করি এছাড়া একজন পরিচিত টেকনিশিয়ান এর কাছ থেকে সবসময় সার্ভিস করাই । বেশিরভাগ পার্টস আমি ভারত থেকে নিয়ে আসি , যা অনেক কম দামে পাওয়া যায় । 

বর্তমানে আমি সিটি রাইডে প্রতি লিটার অকটেনে প্রায় ৩৫-৩৭ মাইলেজ পাই এবং হাইওয়েতে প্রতি লিটারে প্রায় ৪৮ মাইলেজ পাই । বর্তমানে আমি Idemitsu 10W30 গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি । অনেক লোক স্কুটারের জন্য MA2 টাইপ ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করে যা MB টাইপের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ৷ MB টাইপ ইঞ্জিন অয়েল গুলো বিশেষভাবে ক্লাচ ছাড়া অটো স্কুটারগুলির জন্য তৈরি করা হয় ৷

স্কুটারটি বর্তমানে ৫৬ হাজার কিলোমিটার চলেছে । এর মধ্যে আমি ব্যাটারি দুইবার , পেছনের সাসপেনশন , লুকিং গ্লাস, স্পার্ক প্লাগ, এয়ার ফিল্টার এগুলো পরিবর্তন করেছি ।মডিফিকেশন এর মধ্যে হেডলাইট এল ই ডি লাগিয়েছি , পাওয়ারফুল হর্ন লাগিয়েছি এছাড়া কিছু স্টিকার মডিফিকেশন করেছি । 

এটি স্পিডিং এর জন্য তৈরি করা হয়নি এটি অনেক বেশি স্মুথ এবং কম্ফোর্টাবেল । যদিও এটি প্রায় ১২ বছরের পুরোনো মেশিন সেই হিসাবে শেষবার আমি সর্বোচ্চ গতি পরীক্ষা করেছিলাম যেখানে আমি টপ স্পিড পেয়েছিলাম ৮৫ ।

Honda Activa 110 বাইকের কিছু খারাপ দিক -

  • পাওয়ার খুব কম 
  • চাকার সাইজ ছোট
  • ফুয়েল ট্যাংক এর সাইজ ছোট
  • বডি সাইজ বড়
  • হেডলাইটের আলো কম 
  • পার্টস সব জায়গায় পাওয়া যায়না

Honda Activa 110 বাইকের কিছু ভালো দিক -

  • স্মুথ ইঞ্জিন
  • কম্ফোর্টাবেল
  • বুট স্পেস অনেক ভালো 
  • টার্নিং রেডিয়াস অনেক ভালো 
  • বডি ব্যালেন্স খুবই ভালো 
  • বডি কিট খুবই ভালো 
  • পিলিয়ন এবং রাইডার উভয়ের জন্যই আরামদায়ক সিটিং পজিশন 

এই স্কুটারে আমি সবচেয়ে লং রাইড করেছি প্রায় ১০০ কিলোমিটার কোনো ধরনের ক্লান্তি এবং শরীর ব্যথা ছাড়াই। শুধুমাত্র রাইডের সময় গর্ত গুলোর ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে কারণ এটার চাকাগুলো ছোট । এটিকে আমি স্কুটার জগতের রাজা বলি । প্রচুর জিনিস পত্র নিয়ে শহরের মধ্যে রাইড করার জন্য এটা খুব ভালো জিনিস । বর্তমানে স্কুটার ছাড়া বাইরে যাওয়ার কথা চিন্তাও করিনা । ধন্যবাদ ।

লিখেছেনঃ মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম

আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।

Published by Shuvo Bangla

Best Bikes

Honda CB Hornet 160R

Honda CB Hornet 160R

Price: 169800.00

Honda CB Hornet 160R ABS

Honda CB Hornet 160R ABS

Price: 255000.00

Honda CB Hornet 160R CBS

Honda CB Hornet 160R CBS

Price: 212000.00

View all Best Bikes

Upcoming Bikes

Bajaj Pulsar NS150

Bajaj Pulsar NS150

Price: 0.00

Bajaj Pulsar 400

Bajaj Pulsar 400

Price: 0.00

CFMoto 300SS

CFMoto 300SS

Price: 510000.00

View all Upcoming Bikes