Shares 2

Bajaj Pulsar N160 বাইক নিয়ে মালিকানা রিভিউ - শিফাত

Last updated on 19-Feb-2024 , By Shuvo Bangla

আমি মো: শাহরিয়ার শিফাত । আজ আমি আপনাদের আমার Bajaj Pulsar N160 বাইকটির সাথে আমার প্রায় ৮ মাসের রাইডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো । আমি বাইকটি কেনার প্রথম অনুপ্রেরণা পাই ইউটিউব থেকে। বাইকটি যখন বাংলাদেশে আসবে আসবে করছে ঠিক তখন বাইকটি আমার খুব ভালো লাগে এবং বাইকটি আমার যথেষ্ট পছন্দ হয়।

সিদ্ধান্ত নেই যে এই বাইকটি আমার জন্য পারফেক্ট। ইউটিউবে অনেক বাইক রিভিউয়ারের ভিডিও দেখেছি এই বাইকটির সম্পর্কে, তারা কিছু ভালো দিক এবং কিছু খারাপ দিক উল্লেখ করলো। বাইকটি যখন বাংলাদেশের মার্কেটে লঞ্চ হলো ঠিক তার কিছুদিন পরেই আমি বাইকটি কিনে ফেলি, যার দাম পরেছিলো ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা,যা এখনকার বাজার মূল্যের চেয়ে বেশ কিছুটা কম। 

যদিও আমাকে যথেষ্ট ডিসকাউন্ট দেওয়া হয়েছিল সেই সময়। তারপর পেয়ে গেলাম আমার স্বপ্নের বাইকটি এবং শুরু হলো আমার বাইকটির সাথে পথচলা। আমি ২-৩ বার গ্রুপ ট্যুর দিয়েছি বাইকটি নিয়ে এবং ১৬০ সিসি বাইক হিসেবে খুব ভালো পারফামেন্স পেয়েছি। 

Bajaj Pulser N160 বাইকটির কিছু ভালো দিক -

  • বাইকটির স্পিড যথেষ্ট ভালো।
  • পিলিয়ন সিট এর সমস্যা নেই ।
  • ওভারটেকিং এর সময় ও খুব সহজেই ওভারটেক করা যায়।
  • বাইকটির লুকিং অনেক ভালো ।
  • ১৬০ সিসি ইঞ্জিন হিসেবে মাইলেজ সন্তুষ্ট জনক। 
  • বাইকটি ডুয়্যাল চ্যানেল ABS হওয়াতে ব্রেকিং সিস্টেম এককথায় অসাধারণ।
  • বাইকটিতে হেডলাইট হিসেবে রয়েছে প্রজেক্টর LED ল্যাম্প, যার আলো এককথায় অসাধারণ। 

Bajaj Pulser N160 বাইকটির কিছু খারাপ দিক -

  • বাইকটি একটু স্পোর্টস লুকস এর হওয়ায় সামনের দিকে সামান্য ঝুকে চালাতে হয়।
  • ঝুকে চালানোর জন্য লং ট্যুর বা বেশ কিছুক্ষণ রাইডিং এর পর হাতে ব্যাথা হয় । 
  • বাইকটি যথেষ্ট উঁচু এবং ভারী।
  • ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি হাইটের কম লোকেদের বাইকটি চালানোর জন্য কিছুটা হিমশিম খেতে হবে।
  • বাইকটিতে রয়েছে Inline force cylinder exhaust যা অনেকের কাছে একটু অন্যরকম মনে হতে পারে। 

কোনো কিছুই পারফেক্ট না সব কিছুরই ভালোদিক খারাপ দিক আছে । আমার জীবনের প্রথম বাইকটি আমার অনেক কষ্টের টাকায় কেনা। যখন মন খারাপ থাকে তখন বাইকটি নিয়ে ঘুরি, ফ্রেন্ডসদের পিলিওন নিয়ে চলি। এই বাইকটিতে আমি ১৩৪ কিলোমিটার / ঘণ্টা স্পিড তুলতে পেরেছিলাম ।

বাইকটি আমি কিনেছি শখে। দৈনিক কাজে কোথাও যাওয়ার হলে এই বাইকটিতে করেই যাই। বাইকটি কেনার ৮ মাসে আমি প্রায় ৫০০০ কিলোমিটার চালিয়েছি , যা খুবই সামান্য বলা চলে। বাইকটি দিয়ে আমি কিছুদিন আগে আমাদের উলিপুর উপজেলা থেকে দিনাজপুর গিয়েছিলাম। 

যাওয়া আসায় প্রায় ৩০০+ কিলোমিটার পথ রাইড করেছিলাম বাইকের মাইলেজ এভারেজ ৪৫-৫২ এর মত পেয়েছি যেটা ১৬০ সিসি অন্যান্য বাইকের তুলনায় অনেক সন্তুষ্ট জনক । যাইহোক বাইকটি নিয়ে আমি অনেক সন্তুষ্ট । বাইকটি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ট্যুর ও দিয়েছিলাম খুব সহজেই তেমন কোনো সমস্যা হয় নাই ।

বাইকের প্রতি ভালোবাসা ছোট বেলা থেকেই ছিল অনেক । আরো বেড়ে গেছে এই বাইকটি নেওয়ার পর । বাইকটি নিয়ে অনেক ভাইয়ের এর সাথে পরিচয় হয়েছে আসলে বাইকিং কমিউনিটি গুলোর সাথে পরিচয় না হলে রক্তের সম্পর্ক ছাড়াও যে মানুষ এত সহজে আপন হয় জানা ছিল না । আর বাইকিং গ্রুপ গুলোতে আমার প্রিয় গ্রুপ হচ্ছে "বাইকবিডি"।

আমি এই গ্রুপে ২০২৩ সাল থেকেই আছি এবং পোস্ট লাইক কমেন্ট করে গ্রুপ এর সাথেই ছিলাম সব সময় এবং আছি । লেখার মাঝে ভুল ত্রুটি বানান ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । আরো অনেক কিছু বলার ছিল সেগুলা আজ আর নয় , সামনে আরো রিভিউ দিবো ইনশাআল্লাহ । সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সকলকে, আল্লাহ হাফেজ।

লিখেছেনঃ মো: শাহরিয়ার শিফাত

আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।

Published by Shuvo Bangla

Best Bikes

Honda CB Hornet 160R

Honda CB Hornet 160R

Price: 169800.00

Honda CB Hornet 160R ABS

Honda CB Hornet 160R ABS

Price: 255000.00

Honda CB Hornet 160R CBS

Honda CB Hornet 160R CBS

Price: 212000.00

View all Best Bikes

Upcoming Bikes

Bajaj Pulsar NS150

Bajaj Pulsar NS150

Price: 0.00

Bajaj Pulsar 400

Bajaj Pulsar 400

Price: 0.00

CFMoto 300SS

CFMoto 300SS

Price: 510000.00

View all Upcoming Bikes