হেডলাইট ও অক্সোলারি লাইট ব্যাবহারের সঠিক নিয়ম

This page was last updated on 13-May-2025 04:44pm , By Badhan Roy

রাত্রে নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য বাইক সহ সকল যানবাহনেই হেডলাইটের বিকল্প নেই। অনেক সময় হাইওয়ে সহ অন্যান্য রাস্তায় আমাদের স্টক হেডলাইটের আলো পর্যাপ্ত না হওয়ায় আমরা ফগ লাইট বা এই ধরণের অক্সোলারি লাইট ব্যাবহার করে থাকি। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরা অনেকেই লাইট ব্যাবহারের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে অবগত নই। যার কারনে অপর পাশের যানবাহনের জন্য বেশ সমস্যা এবং ক্ষেত্রবিশেষে দূর্ঘটনার মত ঘটনাও কিন্তু প্রায়ই ঘটে থাকে। আজ আমরা সঠিকভাবে লাইট ব্যাবহারের নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব। 

 

হেডলাইট ও অক্সোলারি লাইট ব্যাবহারের সঠিক নিয়ম

হেডলাইট বা অক্সোলারি লাইটের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সাদা বা হলুদ রঙের লাইট ব্যবহার করা যায়। ইন্ডিকেটরেও কমলা অথবা হলুদ লাইট ব্যাবহার করা যায়। লাল, নীল, সবুজ, বা অন্য কোনো ফ্ল্যাশিং লাইট সাধারণ যানবাহনে ব্যাবহার নিষিদ্ধ, কারণ এগুলো পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স অথবা অন্য জরুরি সেবার যানবাহনের জন্য নির্দিষ্ট করা আছে। 

আমাদের অনেকেই ব্যাক্তিগত বাইক বা গাড়িতে ফ্ল্যাশার সহ এই ধরণের আলো ব্যাবহার করে, যা একে রাস্তার অন্যান্য যানবাহনের জন্য খুবই বিরক্তিকর অপরদিকে আইনত নিষিদ্ধ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা চাইলেই এই লাইট দেখলে ব্যাবস্থা নিতে পারে। এই ধরনের লাইট ব্যাবহারে বিরত থাকা উচিৎ। 

অক্সিলারি লাইট অথবা ফগ লাইট ব্যাবহার নিয়ে বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে। তবে ফগ লাইট ব্যাবহারের সঠিক নিয়ম অবশ্যই এগুলো বাইকের সামনের এমনভাবে স্থাপন করতে হবে যাতে এটি রাস্তার অন্য চালকদের জন্য বিরক্তিকর বা চোখে ঝলকানো না হয়। 

সাধারণত শহরের ভেতরে দিনের বেলায় অক্সিলারি লাইট ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। রাতে বা দৃশ্যমানতা কমে গেলে (যেমন কুয়াশা বা বৃষ্টি) অক্সিলারি লাইট ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে যেহেতু বাইকে ফগলাইট ব্যাবহারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে সঠিক কোন আইনগত ব্যাখা নেই এক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবে ফগলাইটের পরিবর্তে স্টক হেডলাইটের বদলে ভালমানের এলইডি বাল্ব লাগানোর। 

অনেকেই হাই-বিম ও লো-বিম এর সঠিক ব্যাবহার সম্পর্কে জানেন না। শহরের রাস্তায় যেখানে স্ট্রিট লাইট বা অন্যান্য যানবাহনের লাইট থাকে সেখানে লো-বিম ব্যাবহার করা উচিৎ। বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহনের চালকের চোখে যাতে আলো না লাগে তাই বিপরীত পাশের গাড়ি দৃশ্যসীমার মধ্যে দেখা মাত্রই লো-বিম করা উচিৎ। আবার কোন গাড়ির পিছন থেকে লুকিং গ্লাসে আলোর রিফ্লেকশন এড়াতেও লো-বিম ব্যাবহার করা উচিৎ।

অন্ধকার বা কম আলোতে যেমন হাইওয়ে, গ্রামীণ রাস্তা বা বনাঞ্চল এলাকায় রাস্তা একেবারে ফাঁকা থাকলে বা সামনের কোনো গাড়ি না থাকলে তখনই হাই-বিম ব্যাবহার করা উচিৎ। যেখানে রাস্তার পাশে প্রাণী চলে আসতে পারে, সেখানে তাদের আগে থেকে দেখার জন্য হাই-বিম জালিয়ে রাখা যেতে পারে। 

ব্লাইন্ড কর্নার, উঁচুনিচু বা সড়ক দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকায় বিপরীত পাশের গাড়িকে সিগন্যাল প্রদানের জন্যেও হাই-বিম ব্যাবহার করা যেতে পারে। ওভারটেক করার সময় সামনের গাড়িকে সিগন্যাল দিতে হাই বিম এর বদলে পাস দেওয়া যেতে পারে, স্থায়ীভাবে হাই বিমে এই ক্ষেত্রে না রাখাই ভাল। আর সঠিক রঙ এর এবং সঠিক ভাবে লাইট ব্যাবহার জানলে রাত্রে রাইড করার সময়কার দূর্ঘটনা অনেকাংশেই কমে আসতে পারে।

 

জনস্বার্থে- টিম বাইকবিডি।