TVS Apache RTR 160cc ১৬,০০০ কিলোমিটার রাইড - এস কে জুবায়ের
This page was last updated on 29-Jul-2024 01:10pm , By Raihan Opu Bangla
আমি এস কে জুবায়ের, সিরাজগঞ্জ জেলায় আমার বাড়ি। বাইকের প্রতি আমার আগ্রহ অনেক বেশি । আজ আমি আমার TVS Apache RTR 160cc বাইকটি নিয়ে আমার রাইডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।আমি বাইক চালানো শিখি আমার মামার কাছে থেকে । বাইকটি ছিল Bajaj CT 100, সময়টি ছিল ২০১০ সাল । এরপর ২০১২ সালে এসএসসি পরীক্ষা শেষে বাসায় বাইক কেনার কথা বলি । এরপর ২০১৪ সালে এইচ এস সি পরীক্ষা শেষ করি। অনার্সে ভর্তি হওয়ার পর ২০১৫ সালে TVS Apache RTR 160cc বাইকটি ক্রয় করি। এখন আমি আমার ব্যবহার করা TVS Apsche RTR 160cc বাইকটির ভালো খারাপ দিক গুলো বলার চেষ্টা করবো।
বাইকটি ক্রয় করা হয় সিরাজগঞ্জের ঐশী শো-রুম, রেলগেট সিরাজগঞ্জ থেকে । TVS Apache RTR 160cc বাইকটি ১,৭০,০০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করেছিলাম। বাইকটির লুকস আমাকে মুগ্ধ করে। বাইকটি প্রথম বার চালানোর পর মনে হলো আজ রাত আর ঘুমাবো না সারা রাত চালাবো।
Click To See TVS Apache RTR 160cc Race Edition Price In Bangladesh
বাইকটিতে দেয়া সাসপেনশন প্রথম অবস্থায় কিছুটা হার্ড থাকলেও পরবর্তীতে স্মুথ হয়ে যায়। আমার কাছে বাইকটির ব্রেকিং সিস্টেম পার্ফেক্ট মনে হয়নি। সিটিং পজিশন ভালো লেগেছে । বাইকটির সৌন্দর্য আমাকে বাইকটি চালাতে আগ্রহী করে তুলে । বাইকের সামনে এবং পিছনের দেয়া সাসপেনশন অন রোডে এবং অফ রোডে অনেক কমফোর্টেবল রাইড করতে সাহায্য করে।
এতে ব্যবহার করা সিগনাল লাইট, পার্কিং লাইট, ব্রেক লাইট অনেক পাওয়ারফুল হওয়ায় অনেক দুর থেকে যে কোন পরিবহন এর নজরে আসে, এতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কম হয়। অনেক সময় রাইড করেও হাতে কোন ব্যাথা অনুভব করিনি কিন্তু কোমরে সামান্য ব্যাথা অনুভব করেছি । কার্বুরেটর ইঞ্জিন হওয়া হলেও এর মাইলেজ অনেক ভালো।
৪০-৪৫ কিলোমিটার প্রতি লিটারে মাইলেজ পাচ্ছি । প্রতিদিন বাইক পরিষ্কার করি । প্রতি মাসে ১ বার বাইকটা ওয়াশ করি। ভালো গ্রেডের চেইন লুব, ইঞ্জিন লুব ব্যবহার করি।
প্রথম ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করেছি ৫০০ কিলোমিটার পর। এরপর যথাক্রমে ১০০০ থেকে ১১০০ কিলোমিটার পরপর ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করি। আমি আমার বাইকে TVS TRU4 PREMIUM 10W30 গ্রেডের SEMI-SYNTHETIC ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি। বাইকটি বর্তমানে ১৬ হাজার কিলোমিটার চলেছে ।
Click To See TVS Bike Price In Bangladesh
বাইকটির কিছু ভালো দিক –
- সাসপেনশন
- মাইলেজ
- লুকস
- সিটিং পজিশন
- ইঞ্জিন পাওয়ার
- পিলিয়ন সিট কমফোর্টেবল
বাইকটির কিছু খারাপ দিক –
- হেড - লাইট এর AC সিস্টেম এর জন্য লাইটের আলো স্বল্পতায় পরতে হয়
- ব্রেকিং পার্ফরমেন্স কম
- ভাইব্রেশন করে
এখন পর্যন্ত বাইকটিতে আমি কোন পার্টস পরিবর্তন করিনি। বাইকটি দিয়ে আমি সর্বোচ্চ ৩৬০ কিলোমিটার রাইড করেছি পিলিয়ন সহ। সিরাজগঞ্জ টু রংপুর যাওয়া আসা। এই রাইডে আমি বাইকের কোন সমস্যা পাইনি, হাল্কা পাওয়ার লস ছাড়া। ধন্যবাদ।
লিখেছেন - এস কে জুবায়ের
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।