Suzuki Gixxer বাইক নিয়ে মালিকানা রিভিউ - রিফাত রহমান

This page was last updated on 13-Dec-2022 12:29pm , By Shuvo Bangla

আমি রিফাত রহমান । আমি একটি Suzuki Gixxer বাইক ব্যবহার করি । বাইকটি নিয়ে আমি আজ আপনাদের সাথে আমার রাইডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।

আমার বাসা মৌলভীবাজার কুলাউড়া , আমার জীবনের প্রথম বাইক Tvs Stryker 125 এই বাইকটা দিয়ে জীবনের প্রথম বাইক চালানো শিখেছি । বাইকটা কম সিসি কিন্তু এই ১২৫ সিসির মধ্যে কিপরিমান আনন্দ এটা বোঝানো সম্ভব নয় ।

আজ থেকে তিন চার বছর আগে বাইক চালানো শিখি । তারপরে আস্তে আস্তে বাইকের প্রতি ভালোবাসা জন্মায় । আমি একজন ভ্রমণ প্রেমিক। ভ্রমন করতে খুবই ভালো লাগে আর তা যদি হয় বাইকে তাহলে তো আর কোন কথাই নেই ।

জিক্সার খুব একটা কমন বাইক যার ফলে যে কোন জায়গায় সার্ভিস বা স্পেয়ার পার্টস পাওয়া যায় । এইসব দিক চিন্তা করে আমি বাইকটি ক্রয় করি ।


বাইকটি যখন ক্রয় করি তখন বাইকটির দাম ছিল ১৯২,৯৫০ টাকা । বাইকটি আমি মৌলভীবাজার সুজুকি শোরুম থেকে কিনেছিলাম । বাইক কিনতে যাবার দিন বাইক কেনার কোন চিন্তা ছিল না । আমি শোরুমে যাই বাইক দেখতে কিন্তু গিয়ে বাইক পছন্দ হয়ে যায় এবং ওই দিন বাইক কিনে নিয়ে আসি ।

বাইকটি প্রথমবার চালানোর অনুভুতি লিখে বোঝানো সম্ভব নয় । এটা শুধু একজন বাইকারই বুঝবে । বাইক চালানোর পেছনের মূল কারণ পরিবারের বিভিন্ন কাজ এবং সময় পেলে মাঝে মাঝে ভ্রমণ করার ।

আমার বাইক কয়েক বার সার্ভিস করিয়েছি সুজুকি শোরুম থেকে এখন পর্যন্ত যতটা সার্ভিস করিয়েছি সবগুলো বাইকের সাথে ফ্রি সার্ভিস । সুজুকি সবসময় তাদের বেস্ট সার্ভিস দিয়ে থাকে । ২৫০০ কিলোমিটার পূর্বে ও পরে বাইকের মাইলেজ পেয়েছি ৪০-৪৫ ।

আমার বাইকে ব্যবহার করা ইঞ্জিন অয়েলের নাম Shell Advance Ax Star 20W40 দাম ৫৫০ টাকা । ইঞ্জিন অয়েলটি খুবই ভালো, আমি অনেকদিন থেকে এটা ব্যবহার করছি । বাইকটি দিয়ে আমার তোলা সর্বোচ্চ স্পীড ১২০ ।

বাইকের পার্টস পরিবর্তন করিনি , আমার বাইকের মডিফিকেশন তেমন একটা ভালো লাগে না । এছাড়াও মধ্যবিত্ত হওয়ার ফলে অনেক কষ্টে বাইক কিনেছি এরপর আর টাকা খরচ করা সম্ভব না । রেগুলার মেনটেনেন্স করতে একটু কষ্ট হয়ে যায় ।

Suzuki Gixxer বাইকটির কিছু ভালো দিক -

  • ব্রেকিং সিস্টেম
  • দেখতে সুন্দর
  • টায়ারের গ্রিপ
  • লং রাইডে পার্ফরমেন্স ধরে রাখে
  • কম্ফোর্ট

Suzuki Gixxer বাইকটির কিছু খারাপ দিক -

  • চেইন লুজ ইস্যু
  • সিটি রাইডে হিটিং ইস্যু
  • হেডলাইটের আলো কম
  • লং রাইডে বাইকের সাউন্ড পরিবর্তন হয়ে যায়
  • লং রাইডে পার্ফরমেন্স ড্রপ করে

বাইকটি নিয়ে আমি অনেক ট্যুর দিয়েছি । আমার বাইকটি নিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি ট্যুর দেওয়ার পর মাইলেজ এর ব্যাপার টাও খেয়াল করলাম ভালই মাইলেজ পেয়েছি ।

সব মিলিয়ে আমার খুব প্রিয় একটি বাইক । যত খারাপ দিক থাকুক না কেন । ওইগুলো আমার চোখে লাগে না । কারণ আমি তাকে ভালোবাসি । ধন্যবাদ ।

 

লিখেছেনঃ রিফাত রহমান
 
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।

Best Bikes

Honda CB Hornet 160R

Honda CB Hornet 160R

Price: 169800.00

Honda CB Hornet 160R ABS

Honda CB Hornet 160R ABS

Price: 255000.00

Honda CB Hornet 160R CBS

Honda CB Hornet 160R CBS

Price: 212000.00

View all Best Bikes

Upcoming Bikes

Bajaj Pulsar NS150

Bajaj Pulsar NS150

Price: 0.00

Bajaj Pulsar 400

Bajaj Pulsar 400

Price: 0.00

CFMoto 300SS

CFMoto 300SS

Price: 510000.00

View all Upcoming Bikes