Runner AD 80s Deluxe ইঞ্জিন ওয়েল লাগে ৬০০ মিলি - নজরুল
This page was last updated on 27-Jul-2024 09:21am , By Raihan Opu Bangla
আমি মোঃ নজরুল ইসলাম খান । আমি ঢাকা সাভার উপজেলার সাদাপুর পুরান বাড়ি এলাকায় বসবাস করি । বর্তমানে আমি একটি Runner AD 80s Deluxe বাইক ব্যবহার করছি । আজা আমি আমার এই বাইকটির ব্যাপারে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।
Runner AD 80s Deluxe ইঞ্জিন ওয়েল লাগে ৬০০ মিলি
আমি পেশায় একজন ব্যবসায়ী । আমি বর্তমানে ব্যবহার করি Runner AD 80s Deluxe। আমি প্রথম বাইক চালানো শিখি ২০০৬ সালের দিকে আমার বাবার বাইক দিয়ে, বাইকটি ছিল Yamaha Rx 115 সিসি। এরপর আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বাইক ব্যবহার করে থাকি।
২০১৭ সালের দিকে আমি প্রথম আমার নিজের টাকায় হিরো স্প্লেন্ডার প্লাস বাইকটি ক্রয় করি । বাইকটি বেশ কিছুদিন চালানোর পর পুরনো হয়ে গেলে আমি তা বিক্রি করে দেই এবং দ্বিতীয় বার Runner AD 80s Deluxe বাইকটি কিনি।
আমি এখন পর্যন্ত আমার Runner AD 80s Deluxe বাইকটি ৪০০০+ কিলোমিটার চালিয়েছি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো এই চার হাজার কিলোমিটার চালানোর অভিজ্ঞতা। আমি AD 80s Deluxe বাইকটি ০৫.১১.২০২০ তারিখে কিনেছিলাম।
আমি মোটরসাইকেলে প্রথম ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করেছিলাম ৫০০ কিলোমিটারে দ্বিতীয় বার ১২০০ কিলোমিটারে এবং তৃতীয় বার ২০০০ কিলোমিটারে। আর বর্তমানে প্রতি ১০০০ কিলোমিটার পর পর ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করি । Runner AD 80s Deluxe বাইকে ইঞ্জিন অয়েল এর পরিমাণ ৬০০ মিলিলিটার ।রানার মোটরসাইকেল তাদের প্রতিটি বাইকের সাথে ৬ বছরের ইঞ্জিন ওয়ারেন্টি দিয়ে থাকে। ইঞ্জিন ওয়ারেন্টি পেতে হলে আপনাকে রানারের নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করতে হবে। আমি আমার মোটরসাইকেলে Servo 20w40 মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি।
বাইকের ইঞ্জিন ৮০সিসির হলেও এর পারফর্মেন্স অনেক ভালো। আপনি ঢাকা শহরের রাস্তার মধ্যে চলাফেরা করার সময় বুঝতেই পারবেন না আপনার বাইকটি ৮০সিসির বাইক রাইড করছেন ।
বাইকটির পিকাপ রেস্পন্স যথেষ্ট ভালো । এই বাইকটি দিয়ে আমি সর্বোচ্চ ৯৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত স্পিড তুলতে সক্ষম হয়েছি । অনেকে বিশ্বাস করতে চায় না বাইকটি 80 সিসির। এই সেগমেন্টের মধ্যে বাইকটির ইঞ্জিন অনেক ভালো।
লং ড্রাইভে ও এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি আর এই বাইকের স্পেয়ার পার্টস জাপানি অনেক মোটরসাইকেলের সাথে মিলে তাছাড়া এর স্পেয়ার পার্টস আপনি সবখানেই পাবেন এবং দাম খুবই কম আপনি অনেকদিন চালাতে চাইলে এই মোটরসাইকেলটি নিতে পারেন।বাইকের ব্রেকিং কন্ট্রোলিং অনেক ভালো । চিকন চাকা থাকার পরেও আমি এখন পর্যন্ত স্কিড বা কোন জায়গায় পড়ে যাইনি ড্রাম ব্রেক খুবই কার্যকরী চাকায় অনেক ভালো গ্রিপ পাওয়া যায় গ্রামে বা শহরে যে কোন রাস্তায় বাইকটি চালাতে আপনি খুব কম্ফোর্ট ফিল করবেন ।
Runner AD 80s Deluxe বাইকটির কিছু ভালো দিক -
- এর ইঞ্জিন পাওয়ার যথেষ্ট ভালো যা আপনাকে হাইওয়ে রাইডে অনেক হেল্প করবে এবং এর মেনটেনেন্স খরচ খুবই কম
- এর মাইলেজ খুবই ভালো আপনি প্রতি লিটার তেলে ৫৫ থেকে ৬২ কিলোমিটার পর্যন্ত চালাতে পারবেন
- বডি চেসিস খুবই মজবুত জাপানি মোটর সাইকেলের মতো অনেকদিন ইউজ করতে পারবেন
- এর সেল্ফ স্টার্ট খুবই কার্যকরী এবং কিক স্টার্ট খুবই কার্যকরী সকালবেলায় দ্বিতীয়বার কিক দিতে হয়নি
- সামনে এবং পিছনে ড্রাম ব্রেক থাকার পরও এটি খুব তাড়াতাড়ি কন্ট্রোলে আনা যায়
বাইকটি নিয়ে আমি এখন পর্যন্ত দুইবার লম্বা পথ পাড়ি দিয়েছি একবার ৩০০ কিলোমিটার আরেকবার ২৫০ কিলোমিটার- বাইকটি আমাকে কখনোই হতাশ করেনি এবং ইঞ্জিন ও অনেক কম গরম হয়। রানার এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে যতগুলো মোটরসাইকেল বিক্রি করেছে তার মধ্যে ডিলাক্স মোটরসাইকেলটি সবচেয়ে বেশি বিক্রি করা হয়েছে ।
যারা কম টাকায় একটি ভালো মোটরসাইকেল চাচ্ছিলেন এবং বহু দিন আপনি ইউজ করতে পারবেন তারা নিতে পারেন রানারের ডিলাক্স মোটরসাইকেলটি তাছাড়া রানার কিস্তি সুবিধা দিয়ে থাকে। যদি কেউ নগদ টাকায় বাইকটি কিনতে চান তাহলে বলব আপনি এ টাকার মধ্যে ইন্ডিয়ান আরো ভালো মোটরসাইকেল পাবেন কিন্তু বেশিদিন ইউজ করতে চাইলে বা খুব বেশি ইউজ করতে চাইলে আপনি Runner AD 80s Deluxe মোটরসাইকেলটি নিতে পারেন আমি এই নিয়ে আমার রিভিউ শেষ করবো। ধন্যবাদ।
লিখেছেনঃ মোঃ নজরুল ইসলাম খান
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।