Honda CBR 150R ২৫,৭০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ - মৈনাক

This page was last updated on 06-Feb-2023 09:06am , By Shuvo Bangla

আমি হুমায়ূন কবির মৈনাক বর্তমানে চালাচ্ছি Honda CBR 150R বাইকটি। এটি চালিয়েছি এখন পর্যন্ত ৩৪৪৫ কিলোমিটার । এর উপরে ভিত্তি করে আমি এটার একটি ছোট খাটো রিভিউ দিব।

আমি প্রায় দেড় বছর R15 V3 Indian ABS বাইকটি ২৫,৭০০ কিলোমিটার চালানোর পরে নভেম্বর ২০২২ হোন্ডা শোরুম থেকে এই বাইকটি ক্রয় করি। স্পোর্টস বাইকের মধ্যে CBR কম্ফোর্ট কিং এটা মানতেই হবে।

বাইকটি যখন ৩৫১ কিলোমিটার তখন ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ লং টুর দেই আসা যাওয়া ঘুরাঘুরি করে প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার এর ট্যুর ছিল এটা। বিকাল ৪ ঘটিকার সময় রওনা দিয়ে আমরা সুনামগঞ্জ থেকে ভিতরে জামালদি নামক জায়গায় পৌছেছিলাম রাত ২.৩০ মিনিটে। যার মধ্যে ১৮ কিলোমিটার ছিল অফরোড।

বাইকটি লং রোডে চালিয়ে আমি মাইলেজ পেয়েছি ৪১.২৫ প্রতি লিটারে। শহরে ৩৫ প্লাস মাইলেজ পাই। বাইকটি রাতে রাইড করার সময়ে আলোর সল্পতা অনুভব করেছি তবে ৭০ - ৮০ কিলোমিটার স্পিডে চালাতে তেমন কোন সমস্যা হয় না। বাইকটিতে ভাইব্রেশন আছে। শুনেছি হোন্ডার এই বাইকে ভাইব্রেশন হবেই। আরো একটা কথা শেয়ার করি আমি আমার বাইকের শুধু চেন পরিবর্তন করেছি। 

ডিআইডি এর চেন ব্যাবহার করছি। স্পকেট স্টক এর টাই আছে। মাওয়া রোডে আমি বাইকটি দিয়ে ১৩৮ টপ স্পিড পেয়েছি আরো উঠতো আমি উঠাইনি। ব্রেকিং পিরিয়ড আমি সেভাবে মানতে পারিনাই। সুনামগঞ্জ যাওয়ারর সময় ৮০০০ আরপিএম এ চালাতে হয়েছে মাঝে মাঝে। বাইকটি স্মুথ এবং এর এক্সজস এর আওয়াজ আমার ভালো লাগে। 

বাইকটির পিলিয়ন সিটের প্লাসটিক দূর্বল অনেকেই অভিযোগ করে পিলিয়ন বসলে পিছনের প্লাসটিক ভেঙ্গে যায়। আমি ভিতরে স্টিল দিয়ে টিকেন দিয়ে দিয়েছে।


বাইকটি কার্নিং করে খুব মজা। ১৩০ সেগমেন্টের টায়ার হওয়ার পরেও কনফিডেন্স কমেনি খুব ভালোভাবেই কার্নিং করা যায়। ডিসেম্বর ২০২২ আমি ও আমার ওয়াইফ ঢাকা থেকে সাজেক হয়ে সিন্দুক ছড়ি দিয়ে আমার ঢাকা আসছি। তো এই লং রাইডিং এ পাহাড়ি আকা বাকা রাস্তা সহ রাতের রাইডিং ও ছিল। বাইকটি আমাকে কোন মতেই হতাশ করেনি। 

পাওয়ার, কার্নিং, কম্ফোর্ট সব খানেই বাইকটি নির্ভরতার সাথে চলেছে। এর সমনের সাসপেনশন খুব ভালো পারফরমেন্স দেয়। ভাঙ্গা রাস্তা, স্পিড ব্রেকার ইত্যাদিতে খুব স্মুথ পারফরমেন্স দেয়। পিলিয়ন হিসাবে আমার ওয়াইফ থেকে জানতে চাইলে সে বলেছে তার কোন সমস্যা হয় নাই। শরিরের কোন খানে ব্যাথাও হয় নাই। বর্তমানে মাতুল ৩১০০ মিনারেল 10w30 দিয়ে আমি ২০০০ কিলোমিটার চালাই। ৫০০০ কিলোমিটার চলার পরে আমি সিনথেটিকে মুভ করবো। 

আমি কিন্তু মিনারেল দিয়ে ২০০০ কিলোমিটার চালাচ্ছি আমার বাইকের কোন সমস্যা হয় নাই। আমি দেখেছি ইঞ্জিন অয়েল ড্রেন দিয়ে ভিসকোসিটি তখনও ছিল। পরিশেষে বলতে চাই বাইকটি দেখতে সুন্দর এবং বুঝা যায় টেকশই হবে। তবে বাইকটির পার্টস এর দাম খুব বেশি সবাই বলে কারন আমার কোন পার্টসের প্রয়োজন হয় নাই। বাইকটার ডেকোরেশন এর মালামালও কম পাওয়া যায়।

CBR এবং R15 V3 এই দুইটি বাইকই আমি চালিয়েছি। দুটি বাইকই তার নিজেস্ব বৈশিষ্ঠ নিয়ে নিজেদের মাঝে সেরা। তবে আমার মতো ৪০ প্লাস মানুষের জন্য CBR ই খুব ভালো বলে মনে হয়েছে বিশেষ করে হোন্ডা এর স্পোর্টস সেগমেন্ট এর কম্ফোর্ট বিবেচনায়। ধন্যবাদ । 


লিখেছেনঃ রুবেল আহমেদ
 
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।

Best Bikes

Honda CB Hornet 160R

Honda CB Hornet 160R

Price: 169800.00

Honda CB Hornet 160R ABS

Honda CB Hornet 160R ABS

Price: 255000.00

Honda CB Hornet 160R CBS

Honda CB Hornet 160R CBS

Price: 212000.00

View all Best Bikes

Upcoming Bikes

Bajaj Pulsar NS150

Bajaj Pulsar NS150

Price: 0.00

Bajaj Pulsar 400

Bajaj Pulsar 400

Price: 0.00

CFMoto 300SS

CFMoto 300SS

Price: 510000.00

View all Upcoming Bikes