Bajaj Pulsar NS160 Dual Disc ৩০০০ কিলোমিটার রাইড - সিজান আনোয়ার শুভ
This page was last updated on 26-Jul-2024 12:48am , By Raihan Opu Bangla
আমি সিজান আনোয়ার শুভ । আমার বাসা বাগেরহাট। আজ আমি আমার Bajaj Pulsar NS160 Dual Disc বাইকটি ৩ হাজার কিলোমিটার চালানোর কিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ।
আমার প্রথম বাইক Bajaj Pulsar 150 UG3 2015 মডেল। বাইকটি আমার অনেক পছন্দের একটি বাইক ছিল। বাইকটি আমি অনেকদিন রাইড করেছি এবং বাইকটি নিয়ে আমি অনেক জায়গায় ঘুরেছি । ছোট থেকে বাইকের প্রতি এক অন্য রকম ভালাবাসা । Puslar বাইক বেছে নেওয়ার কারন হচ্ছে আমার প্রথম বাইক ছিল Bajaj Pulsar 150 UG3 2015 আর বাইটা রাইড করে আমি খুব বেশি সন্তুষ্ট ছিলাম।
আমার পরিবারের সবার বাজাজ ব্রান্ড এর বাইক পছন্দ ছিল তার কারনেই Bajaj Pulsar NS160 Dual Disc বাইকটি ক্রয় করি। আমি যখন বাইকটি ক্রয় করি তখন আমার বাইটির দাম ছিল ১,৯৫,০০০/- টাকা। বাইকটি ঢাকা বনানী বাজাজের শোরুম থেকে কেনা হয়েছে । এটা আমার লাইফের প্রথম বাইক যেটা আমি শো-রুম থেকে নিয়েছি। বাইক কেনার দিন সকালে না খেয়েই চলে গিয়েছিলাম বাইক কিনতে ।
Click To See Bajaj Pulsar NS160 Dual Disc Price In Bangladesh
বাইক কিনে প্রথম চালানোর কথা আজ ও মনে পরে। কারন লাইফের কিছু দিন আছে যেটা কখনো ভোলার মতো না। বাইক চালানোর প্রথম কারন আমি বাইক ভালোবাসি । আর আমার আব্বু একজন ব্যবসায়ি তাই কাজের প্রয়োজনে বাইকে করে আব্বুকে নিয়ে অনেক জায়গাতে যেতে হয় ।
Bajaj Pulsar NS160 এর ফিচার্স গুলো অনেক ভালো। আমার কাছে বাজেটের মধ্যে এটাই বেস্ট মনে হয়। আমার কাছে এই বাইকের কন্ট্রোলিংটা সব থেকে বেশি ভালো লাগে। আমার প্রতিদিন বাইক রাইড করা হয়। বাইক রাইডের সময় আলাদা একটা অনুভুতি কাজ করে। কারন বাইকে করে আমি অনেক যায়গায় ঘুরতে যেতে পারি। আমার বর্তমান বাইকটিতে দুই বার সার্ভিসিং করানো হয়েছে। সার্ভিস করিয়েছি গোপালগঞ্জ বাজাজ এর শো-রুম থেকে।
আমার বাইক রাইড করা হয়েছে মাত্র ৩ হাজার কিলোমিটার। আমি এখন মাইলেজ এভারেজ ৪০ এর মতো পাই। আমি বাইকে প্রতিদিন পরিস্কার করি এবং বাইকটি নতুন এর মতো রাখার চেষ্টা করি। আমি Super 4T 50 ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি। ইঞ্জিন অয়েল নিয়ে কোন সমস্যা হয়নি, বেশ ভালো পার্ফরমেন্স পাচ্ছি । আমার Bajaj Pulsar NS160 Dual Disc বাইকটি মাত্র ৩০০০ কিলোমিটার রাইড করা হয়েছে। বলতে গেলে বাইকটি এখনও নতুন তাই এখন পর্যন্ত কোন পার্টস পরিবর্তন করতে হয়নি ।
বাইকে কোন মোডিফিকেশন এখনো করিনি। হয়তো পরবর্তিতে করতে পারি। আমার NS160 বাইটির ব্রেকিং শেষ হয়েছে কিছু দিন আগে তাই এখনো টপ স্পীড চেক করিনি । সবসময় এভারেজ ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা স্পিডে চালানোর চেষ্টা করি ।
Click To See ALL Bajaj Bike Price In Bangladesh
বাইটির কিছু ভালো দিক -
- বাইকটির বাজেট
- মাইলেজ
- কন্ট্রোলিং
- লুকস
- টপ স্পীড
বাইটির কিছু খারাপ দিক -
- পিলিয়ন সিট কম্ফোর্ট না
- চাকা গুলো চিকন
- চাবিটা ভালো লাগেনি
- ইঞ্জিন সাউন্ড ভালো লাগেনি
- পার্কিং লাইট ভালো লাগেনি
বাইকটি নিয়ে আমি লং ট্যুর এ গোপালগঞ্জ টু খুলনা রাইড করি । বেশ ভালো পার্ফরমেন্স পেয়েছি ট্যুরে । হাইওয়েতে এর পার্ফরমেন্স অসাধারন । বাইকটা দিয়ে আমার যাতায়াত করতে খুব সুবিধা হয় । বাইকটি না থাকলে হয়তো এই সুন্দর বাংলাদেশের অনেক কিছুই দেখা হতোনা । আমি আমার Bajaj Pulsar NS160 DD বাইকটি নিয়ে সন্তুষ্ট । ধন্যবাদ।
লিখেছেনঃ সিজান আনোয়ার শুভ
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।