Bajaj Pulsar 150 DSTi UG4 মালিকানা রিভিউ - মিঠুন বিশ্বাস
This page was last updated on 13-Jan-2025 05:47pm , By Raihan Opu Bangla
আমি মিঠুন বিশ্বাস। আমার স্থায়ী ঠিকানা যশোর জেলা ঝিকরগাছা থানা । বর্তমানে আমি গ্রামে থাকি। বর্তমানে আমি রাইড করছি Bajaj Pulsar 150 DTSi UG4 আজ আপনাদের সাথে বাইকটি নিয়ে আমার কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।
Bajaj Pulsar 150 DTSi UG4 এবং কিছু স্মৃতি
এই বাইকটি আমার জীবনের প্রথম বাইক। বাইকটি আমি ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। আমি বাইকিং ভালোবাসি এর পিছনে অনেক গুলো কারণ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম কারণ ছোটবেলা থেকেই মোটরসাইকেলের প্রতি একটা অন্যরকম নেশা কাজ করতো।

এই থেকে বাইকের প্রতি একটা অন্যরকম ভালোবাসা তৈরি হয়ে। তাই বাইকিং আমি ভালোবাসি। আমি যেহেতু মধ্যমিও ঘরের ছেলে সেজন্য বড় ধরণের স্বপ্ন দেখাটা আমার ঠিক হবে না । পরিবার থেকে বাইক কিনে দেওয়ার মত ছিলো না। কিন্তু পরে মাথায় একটা কথা আসলো যদি আমি কিছু করে টাকা যোগাতে পারি তবে তো বাইক কেনাটা সম্ভব।
Also Read: Bajaj Bike Showroom in Police Line: J S Motors (Madaripur)
তারপর থেকে আমার যাত্রা শুরু । এই চিন্তা থেকেই আমার বাইক বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত আসলো এবং আমার বাজেট অনুসারে আমি Bajaj Pulsar 150 DTSi UG4 বাইকটি বেছে নিলাম।
আমি স্বল্প বাজেটের ভিতর ভালো মাইলেজ পাবো এই ধরনের একটা বাইক খুজছিলাম। বাজেট কম থাকায় চিন্তা করছিলাম এই বাজেটের ভিতর Bajaj Pulsar 150 DTSi UG4 তে ভালো মাইলেজ পাবো। ঠিক এই সকল চিন্তাভাবনা যখনই করলাম তখনই দেখলাম যে স্বল্প বাজেটের ভিতর ভালো কোয়ালিটির ১৫০সিসির বাইক আমার জন্য পারফেক্ট, এই জন্য আমি এই বাইকটি বেছে নিলাম ।

Also Read: Bajaj Pulsar 220 DTS-i (2010) Price in Bangladesh.
আমি যখন বাইকটি ক্রয় করি তখন এর বাজারমূল্য ছিল ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা । আমি বাইকটি সরাসরি আমাদের জেলা যশোর বাজাজ শো- রুম থেকে নিয়েছি। যেহেতু এইখানে আমার বাড়ি আর এই শো-রুম এর সবার সাথে ভালো সম্পর্ক ছিলো। বাইকটি প্রথমে আমার বড় ভাই চালিয়ে বাড়ীতে নিয়ে আসে। বাড়ীতে আসার পরে আমি চালাই আসলে কি বলবো ভাই নিজের কাছে এতটা আনন্দ হচ্ছিল বলে বোঝাতে পারবো না।
পরের দিন সকালে আমার গ্রামের মানুষ আমার বাইকটি দেখতে আসে। আর তাদের খুশি করার জন্য আমি তাদের মিষ্টি খাইয়েছি । আসলে বাইক যে দিন থেকে চালানো শিখছি সেই দিন থেকে আমার বাইকের প্রতি আকর্ষন খুব বেশি বেড়ে যায় । সবচেয়ে আকর্ষনীয় ব্যাপার হলো বাইকটি রাতে রাইড করলে বাইকের প্রতিটি সুইচে লাইট জলে থাকে। সেটা আর কোনো বাইকে নেই । সেই দিক দিয়ে বাইকটি আমার খুব ভালো লাগে।
বাইকটি খুব ভালো লাগে আমার। এবং বাইক চালাতে খুব ভালোবাসি। আমি বাইকটি বেশি সার্ভিসিং করাইনি। তার কারণ হল আমার বাইকে তেমন কেনো সমস্যা নেই। ছোটো খাটো কিছু হলে সেটা গ্যারেজ থেকে ঠিক করি। ব্রেকিং এর আগে মাইলেজ পেয়েছি ৪০ + কিলোমিটার প্রতি লিটার ।
Also Read: Bajaj Bike Showroom in Ataikula Bazar: Masud Bajaj Gallery
এখন পাচ্ছি ৪৫ + কিলোমিটার প্রতি লিটার। আমি আমার বাইকটিকে খুব ভালোবাসি। সব সময় পরিস্কার রাখতে পছন্দ করি। আমার বাইক টি এখোনো ফুল ফ্রেশ। কিছু পরিবর্তন করতে হয়নি। আমার বাইকটি কোথাও মডিফাই করা নেই। বাইকটিতে সর্বোচ্চ স্পীড ১২১ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা পেয়েছি আমি। হয়তো আরো বেশি পাওয়ার কথা ছিলো ।
Bajaj Pulsar 150 DTSi UG4 বাইকটির কিছু ভালো দিক –
- বাইকটির মাইলেজ অনেক ভালো
- পিলিয়ন নিয়ে চালাতে বেশ আরামদায়ক
- বাইকটি জ্যামের ভেতরে কন্ট্রোল করতে অনেক সুবিধা
- ট্যুর দেওয়ার জন্য খুবই ভালো
- ইঞ্জিন পার্ফরমেন্স ভালো
Bajaj Pulsar 150 DTSi UG4 বাইকটির কিছু খারাপ দিক –
- বাইকটি ১০০ অপ করলে সাউন্ড অতিরিক্ত হয়
- দীর্ঘ সময় ধরে বাইকটা রাইড করলে ইঞ্জিন একটু বেশি হিট হয়ে যায়
- বাইকটির লাইট এর পাওয়ার একটু কম
- বাইকটি লম্বায় একটু বেশি
বাইকটি নিয়ে আমার চুরান্ত মতামত বলতে গেলে আমি বাইক টি নিয়ে লং ট্যুর দিয়েছি যশোর টু সাজেক। তাতে আমি দেখলাম আমার বাইকটির কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি। আমি মনে করি Bajaj Pulsar 150 DTSi UG4 বাইকটি ট্যুর দেওয়ার জন্য উপযুক্ত একটা বাইক। আমার নিজের অভিজ্ঞতায় এই ছোট রিভিউটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করলাম। ধন্যবাদ ।
লিখেছেনঃ মিঠুন বিশ্বাস
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।
