হঠাৎ বাইকে আগুন লাগার কারণ কি ? সমাধান

Published On 13-May-2023 05:22am , By Ashik Mahmud Bangla

সম্প্রতি হঠাৎ বাইকে আগুন লাগার ঘটনাগুলো নিয়ে সোস্যাল মিডিয়াতে বেশ আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে হঠাৎ বাইকে আগুন কেন লাগে ? বাইকে আগুন লাগার পেছনে আসলেই আমরাই দায়ী। কারণ নিজেদের ছোট্ট কিছু ভুলের কারনে এই ঘটনা অনেক বেশি ঘটছে।

বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের বাজারে দুই ধরণের বাইক মূলত দেখা যাচ্ছে , একটা হচ্ছে ইলেকট্রিক বাইক এবং অপরটা হচ্ছে ফুয়েলে চালিত বাইক। আমাদের দেশে এখনো ইলেক্ট্রিক বাইকের ব্যবহার তেমন একটা দেখা যায় না। তবুও আজ আমরা এই দুই ধরণের বাইকে আগুন লাগার কারণগুলো জানবো এবং সমাধান কি সেটা নিয়ে আলোচনা করবো।

হঠাৎ বাইকে আগুন লাগার কারণ কি ?

১- বাইকে আগুন লাগার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে ফুয়েল ট্যাংকে অতিরিক্ত ফুয়েল লোড করা। এখন অনেকেই বলতে পারেন অতিরিক্ত ফুয়েল আবার কিভাবে নেয়া সম্ভব ? আপনি এই বাইক ব্যবহার করেন না কেনো সেই বাইকের একটা ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটি আছে। ধরুন আপনার বাইকের ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটি ১০ লিটার। কিন্তু আপনি যখন ফুয়েল নিতে যাচ্ছেন তখন ১২ লিটার ১৩ লিটার ফুয়েল আপনি নিয়ে নিচ্ছেন।

অথচ আপনার বাইকের ইউজার বইয়ে লেখা আছে আপনার বাইকের ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটি ১০ লিটার। মূলত সব সমস্যার শুরুটা এখান থেকেই হয় । ট্যাংকিতে বেশি তেল নেয়া যাবে তবুও কোম্পানিগুলো কিছুটা কম কেন বলে থাকে ? প্রতিটা ফুয়েল ট্যাংকের নিচের দিকে একটা জায়গা থাকে , ওই জায়গায় বাইকের ফুয়েল ট্যাংকের ময়লা, পানি এই ধরনের জিনিষগুলো গিয়ে জমা হতে থাকে। আপনি যখন অতিরিক্ত ফুয়েল নিবেন তখন এই ময়লাগুলো আর নিচে থাকবে না,এগুলো উপরের দিকে উঠে আসবে এবং আপনার বাইকের ইঞ্জিনের দিকে যাওয়া শুরু করবে।

ময়লা যুক্ত তেল যখন আপনার বাইকের তেলের লাইনে যাওয়া শুরু করবে তখন আপনার বাইকে ওভারফ্লো সমস্যা শুরু হবে। আর তখন ওভারফ্লো হওয়া তেলগুলো বাইকের গরম ইঞ্জিনে পরবে। গরম ইঞ্জিনে তেল পরলে দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কতটা বেড়ে যাবে সেটা আপনি নিজেও বুঝতে পারছেন।


বাজাজ পালসার বাংলাদেশের বেশ জনপ্রিয় একটা বাইক। আপনি যদি এই বাইকের ফুয়েল ট্যাংকের ক্যাপ খুলেন তাহলে দেখতে পাবেন বামপাশে ছোট একটা ছিদ্র থাকে। এটার কাজ কি জানেন ? এটার কাজ হচ্ছে বাইক ওয়াশ করার সময় পানি ট্যাংকে গেলে যাতে ওই ছিদ্র দিয়ে পানিটা বের হয়ে যেতে পারে।

কিন্তু আপনি যখন অতিরিক্ত ফুয়েল নিবেন তখন ওই পাইপ দিয়ে ফুয়েল বাইকের ইঞ্জিনের বিভিন্ন অংশে লাগার চাঞ্চ থাকে। আর বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে তাপমাত্রা অনেক বেশি এমনিতেই গরম, তারমধ্যে যদি ফুয়েল সেখানে পরে সেখান থেকে অনেক বড় একটা দূর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

২- আরেকটি কারণেও বাইকে আগুন লাগতে পারে। সেটা হচ্ছে, অনেকেই বাইকে সিকিউরিটি লক লাগিয়ে থাকেন। কিন্তু কিছু টাকা বাচাতে গিয়ে নকল সিকিউরিটি সিস্টেম বাইকে ইনস্টল করেন। এগুলা করতে দেখা যায় বাইকের তার কেটে কালেকশন দেয়া হয়। এই সব নকল ডিভাইসের কারণেও কিন্তু আপনার বাইকে আগুন লেগে যেতে পারে।


৩- আমাদের দেশের বাজারে কিছু বাইকের ওয়ারিং ফিউজ থাকে না , আর থাকলেও সেটা হয়  নিম্নমানের। ওয়ারিং ফিউজ থাকে না বলেই আগুন লাগার চাঞ্চ অনেক বেশি বেড়ে যায়।

৪- অনেক বাইকে দেখা যায় নিম্ন মানের কেবল ব্যবহার করা হয়ে থাকে, আর  নিম্ন মানের কেবলের ফলে কেবল লাইন লিক হয়ে যেতে পারে। যখন এই কেবল লাইন লিক হয়ে যায় তখন  ব্যাটারির চার্জিং লেভেল পুড়ে যেতে পারে আর এখান থেকেও আপনার প্রিয় বাইকে আগুন লাগতে পারে।

৫- অনেক বাইক আছে যেগুলোর ইঞ্জিন অতিরিক্ত হিট হয়, যাকে আমরা ওভারহিট বলে থাকি। কোন বাইকের ইঞ্জিন যদি সব সময় অতিরিক্ত হিট হয় সেই বাইকে আগুন লাগার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

সমাধান

১- আমাদের দেশের বাইকে আগুন লাগার ঘটনা খুব বেশি দেখা যায় না। তবুও বিপদ কখনো বলে আসে না, তাই নিরাপদ থাকতে বাইকের ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটি অনুয়ায়ী ফুয়েল নিন। অতিরিক্ত ফুয়েল নেয়ার কোন প্রয়োজন নেই।

২- নকল সিকিউরিটি সিস্টেম ইনস্টল করা থেকে সাবধান থাকুন।

৩- বাইকের ওয়ারিং ফিউজ কেমন সেটা জেনে তারপর বাইক কিনুন।

৪- বাইকের ক্যাবলের মান যাচাই করুন নতুন বাইক ক্রয় করার পূর্বে।

৫- ইঞ্জিন ওভারহিট হলে সেটা সমাধান করার চেষ্টা করুন।

ইলেকট্রিক বাইকে আগুন কেন লাগে ?

এবার চলুন যেনে নেয়া যাক ইলেকট্রিক বাইকে আগুন কেন লাগে ? ইলেকট্রিক বাইক তো আর ফুয়েলে চলে না।

বর্তমান সময়ে ইলেকট্রিক বাইকে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির প্রত্যেক সেলে একটি অ্যানোড (নেগেটিভ) ও একটি ক্যাথোড টার্মিনাল থাকে। এই দুই টার্মিনালকে পৃথক রাখার জন্য মাঝে একটি সেপারেটর রাখা হয়।

ডিসচার্জ হওয়ার সময় মোট অ্যানোড ও ক্যাথোডের সঙ্গে নিয়ন্ত্রিতভাবে সংযুক্ত হয়। এর পরেই বিদ্যুৎ সঞ্চালিত হয়। ব্যাটারির গুণমানের জন্য সেখানে শর্ট সার্কিট হতে পারে। শর্ট সার্কিটের ফলে অ্যানোড ও ক্যাথোড কোন কারণে সংযুক্ত হয়ে গেলে ব্যাটারিতে আগুন লেগে যেতে পারে। ফুয়েল বাইকে ফুয়েল যেমন আগুন লাগার অন্যতম একটা কারণ ঠিক তেমনি ইলেকট্রিক বাইকে তার ব্যাটারি আগুন লাগার অন্যতম প্রধান একটা কারণ।

পরিশেষে বলতে চাই , আপনি যেই বাইক ব্যবহার করেন না কেনো নিজের বাইকের যত্ন নিন। বাইক সঠিক সময়ে সার্ভিসিং করান। সাবধান থাকুন নিরাপদ থাকুন।

ধন্যবাদ।


Best Bikes

@CommonFx::Bestbike()
Honda CB Hornet 160R

Honda CB Hornet 160R

Price: 169800.00

Honda CB Hornet 160R ABS

Honda CB Hornet 160R ABS

Price: 255000.00

Honda CB Hornet 160R CBS

Honda CB Hornet 160R CBS

Price: 209500.00

View all Best Bikes

Latest Bikes

Bajaj Pulsar N150

Bajaj Pulsar N150

Price: 0.00

Lifan KPR250

Lifan KPR250

Price: 0.00

test

test

Price: 200.00

View all Sports Bikes

Upcoming Bikes

Yamaha R15 V4 BS7

Yamaha R15 V4 BS7

Price: 0.00

Yamaha R15M BS7

Yamaha R15M BS7

Price: 0.00

Zontes GK350

Zontes GK350

Price: 0.00

View all Upcoming Bikes