বাইকের সিটকে বিড়ালের আঁচড় থেকে বাঁচাতে এই কাজটি করুন

This page was last updated on 30-Jul-2024 01:38pm , By Ashik Mahmud Bangla

বাইকের সিটে বিড়ালের আঁচড় দেয়া বেশ কমন একটি সমস্যা। আমার সাথে তো এমনটা হয়েছে Lifan KPT 150 বাইকটা কিনে আনার পরের দিন বিড়াল আঁচড় দিয়ে আমার বাইকের দুই সিট নষ্ট করে দেয়। যাক ব্যাপার না কারন বিড়াল আমার অনেক পছন্দের একটা প্রাণী। পরবর্তীতে আমি বাইকে নতুন সিট কভার লাগিয়ে নেই , কিন্তু সেটাও বিড়ালে আঁচড় দিয়ে নষ্ট করে দেয়। একটা সময় এটা আমার জীবনের বিরক্তির অন্যতম কারন হয়ে দাঁড়ায়।

পরবর্তীতে অনেক অভিজ্ঞ মানুষের পরামর্শ নেয়ার পর তারা আমাকে বুদ্ধি দেয় স্থান পরিবর্তন করতে, কেউ বলে স্প্রে করে রাখতে ইত্যাদি। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায় , কারন আমি যাই করি না কেনো বিড়াল আমার বাইকের সিটে আঁচড় দিতোই। যাক পরবর্তীতে আমি টানা ৭ দিন একটা কাজ করি এবং তারপর থেকে এখন পর্যন্ত বিড়াল আমার বাইকের সিটে আর আঁচড় দেয় নাই। আমি আশাকরি আপনি নিয়মিত যদি এই কাজটা করেন তাহলে আপনিও এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাবেন।

বাইকের সিটকে বিড়ালের আঁচড় থেকে বাঁচাতে এই কাজটি করুন

সবার প্রথমে আমি আমার বাইকের জন্য ভারী একটা কভার কিনি , তারপর প্রতিদিন সেই কভার দিয়ে বাইক ঢেকে রাখা শুরু করি। আমি আমার বাইকের কভার কিছুটা টাইট এবং ভারী দেখে কিনেছিলাম যার ফলে কোন প্রাণী চাইলেই কভারের নিচ দিয়ে সহজে প্রবেশ করতে পারতো না। বাইক ঢাকার পর আমি বাইকের সিটে ভারী কিছু দিয়ে রাখতাম , এভাবে টানা ৭ দিন করার পর বিড়াল আমার বাইকের সিটে আঁচড় দেয়া বন্ধ করে দেয়।

এর অন্যতম প্রধান কারন হলো বিড়াল আমার বাইকের সিটে ওঠার কোন সুযোগ পেতো না। আপনি যদি বিড়ালকে সুযোগ না দেন তাহলে বিড়াল আপনার বাইকের সিট কখনো আঁচড়াতে পারবে না। তাই নিজের বাইকের প্রতি যত্নবান হউন। আর বাইক বাইক ঢেকে রাখলে বাইক ধূলাবালির হাত থেকেও রক্ষা পাবে। বিড়ালের আচরণ দেখে কিন্তু আগে থেকে বোঝা যায় বিড়াল কি করতে যাচ্ছে, কিন্তু এটা বুঝতে আপনাকে আগে থেকে বিড়ালের আচরণ সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।

বিড়ালের কোন আচরণে কী বুঝবেন

১- আঁচড় কাটাঃ

পোষা বিড়ালের বিরুদ্ধে বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় আঁচড় কাটার অভিযোগ প্রায় সবারই থাকে। বিড়াল অনেক কারণে আঁচড় দেয় , যেমন- উত্তেজনা প্রকাশ , উত্তেজনা কমানো , চাপ প্রশমন , নিজের অঞ্চল চিহ্নিত করতে এরা আঁচড় দিয়ে থাকে। আবার মরে যাওয়া নখ ফেলে দেয়া এবং থাবা ঠিকঠাক রাখতেও এটা করা প্রয়োজন। আঁচড়ানো কোনো খারাপ স্বভাব নয় , তবে বিড়াল শক্ত কাঠের মেঝেতে আঁচড় কাটতে শুরু করলে সমস্যা হতে পারে। বাড়ির যত্রতত্র আঁচড় কাটা পছন্দ না করলে আপনি বিড়ালের জন্য একটি উপযুক্ত পছন্দের জায়গা নির্ধারণ করে দিতে পারেন।

২- হিস হিস শব্দ করাঃ

রাগ বা অস্বস্তি প্রকাশেরও নিজস্ব ধরন রয়েছে বিড়ালের। হিস হিস করা বা গর্জন করার অর্থ একটি বিড়াল কিছু বিষয় নিয়ে অখুশি।  বিড়ালের হিস হিস শব্দ সাধারণত অন্য ব্যক্তি বা প্রাণীর জন্য একটি সতর্কবার্তা। বিড়ালটি তাকে সরে যেতে বলছে। বিড়াল সাধারণত পরিচিত জিনিস পছন্দ করে , এটি তার মধ্যে নিরাপত্তা বোধেরও জন্ম দেয়। তাই কখনও কখনও বিড়ালের হিস হিস করার কারণ তাদের পরিচিত পরিবেশে একটি নতুন বস্তু দেখা যাচ্ছে (যেমন- একটি খেলনা বা আসবাবের টুকরা)।

৩- লেজ সোজা রাখাঃ

বিড়ালের লেজও তার খুশির একটি চিহ্ন হতে পারে। যেমন- একটি বিড়াল আপনার কাছে এসে লেজ সোজা করে রাখলে বা শেষের দিকটি সামান্য বাঁকানো থাকলে ধরে নিতে পারেন, এটি তার ভালোবাসা প্রকাশের চিহ্ন।

৪- ঘ্রাণ নেওয়াঃ

ঘ্রাণ নেয়া অথবা বিড়াল আপনার শরীরে বা কোনো বস্তুর ওপর মাথা ঘষলে ধরে নিন এটি তাদের ভালোবাসা প্রকাশের লক্ষণ। বিড়াল এভাবে গন্ধ ছড়িয়ে নিজের প্রিয় অঞ্চল চিহ্নিত করে থাকে। বিড়াল চেটেও এটি করতে পারে।

আপনি যদি আপনার প্রিয় বাইকটিকে বিড়ালের আঁচড় থেকে বাঁচাতে চান , তাহলে বাইক ঢেকে রাখার বিকল্প আর কিছুই হতে পারে না। আমাদের অনেকর মাঝেই বাইক ঢেকে রাখা নিয়ে আলসেমি কাজ করে। বাইরের থেকে পরিশ্রম করে বাসায় গিয়ে কাজটা করা আসলেই কষ্টের। কিন্তু সমস্যা হলে সমাধান তো করতেই হবে , তাই কাজটি করে দেখুন এবং অযথা কেউ বিড়ালকে মারতে যাবেন না।