বাইকের মামলা সংক্রান্ত ৯টি প্রশ্ন এবং উত্তর I Q & A

This page was last updated on 31-Jul-2024 04:03pm , By Ashik Mahmud Bangla

বাইকের মামলা নিয়ে বাইকারদের মনে প্রশ্নের কোন কমতি থাকে না, আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি চেষ্টা  করেছি মামলা সংক্রান্ত কমন কিছু প্রশ্নের উত্তর দেয়ার। আশাকরি আপনি যদি এই সম্পর্কে জানেন এবং আইনগুলো মেনে চলেন তাহলে আগামীর দিনে আপনি এই কারনগুলোর জন্য মামলার সম্মুখীন হবেন না।

bike case

বাইকের মামলা সংক্রান্ত প্রশ্ন এবং উত্তর


১/ প্রশ্নঃ আমার গাড়ির সব কাগজ ঠিক আছে তাহলে কেন আমাকে অযথা মামলা দেয়া হল ?

উত্তরঃ গাড়ির কাগজ ঠিক থাকলেই যে মামলা হবে না সেটা কিন্তু নয়, ট্রাফিক আইন ভাঙলে আপনার বাইকের মামলা হবে। যেমনঃ উল্টো পথে আসা, ড্রাইভিংয়ের সময় ফোনে কথা বলা, ওভারস্পিড সহ নানা কারনে মামলা হতে পারে। শুধু কাগজপত্র থাকলেই হবে না, আপনার ট্রাফিক আইনও মেনে চলতে হবে।

২/ প্রশ্নঃ লার্নার কার্ড দিয়ে বাইক চালানো যাবে কি ?

উত্তরঃ এক কথায় না, লার্নার কার্ড দেয়া হয় ড্রাইভিং শেখার জন্য, রোডে বাইক চালানোর জন্য এটা আপনাকে দেয়া হয় না। তাই লার্নার কার্ড দিয়ে বাইক চালাতে গেলে আপনি অবশ্যই মামলার সম্মুখীন হবেন।

আমার-হেলমেট-বাইকে-ছিল-তাও-হেলমেটের-মামলা-কেন-দিল

৩/ প্রশ্নঃ আমার হেলমেট বাইকে ছিল তাও হেলমেটের মামলা কেন দিল ?

উত্তরঃ হেলমেট কিন্তু বাইকে রেখে দেয়া অথবা হাতে ধরে রাখার জন্য দেয়া হয় না। এটা দেয়া হয়েছে বাইক চালক এবং পিলিয়ন উভয়ের নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে, তাই রাইডার এবং পিলিয়ন উভয়ের মাথায় যদি হেলমেট না থাকে সেক্ষেত্রে আপনি মামলার সম্মুখীন হবেন।

৪/ প্রশ্নঃ বাইকের সকল কাগজ আপডেট থাকার পরও কেন বাইক রেকার করল ?

উত্তরঃ বাইকের সকল কাগজ সাথে না থাকলে কিংবা শুধুমাত্র ফটোকপি থাকলে বাইক রেকার হবে কারন, মামলা করতে হলে বাইকের মিনিমাম একটি  আসল পেপারস আটক রাখতে হয়।  যেটি আপনি প্রদানে ব্যার্থ হয়েছেন, তাই আপনার বাইকটি রেকার করা হতে পারে।

শোরুম-থেকে-বাইক-কিনে-কাগজ-করতে-দিয়েই-কি-AFR-লিখে-বাইক-চালানো-যাবে

৫/ প্রশ্নঃ শোরুম থেকে বাইক কিনে কাগজ করতে দিয়েই কি AFR লিখে বাইক চালানো যাবে ?

উত্তরঃ রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যতীত আপনি বাইক চালাতে পারবেন না।

৬/ প্রশ্নঃ আমার বাইকের সব কাগজ ঠিক থাকার পরও সার্জেন্ট সাহেব অযথা আমাকে হয়রানি করেছে কেন ?

উত্তরঃ আপনার সব কাগজ ঠিক থাকলে এবং ট্রাফিক রুলস ভায়োলেশন না করলে আপনাকে কেউই মামলা দিতে পারবে না। আমি বাইক নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ভ্রমণ করি, আজ পর্যন্ত এমন হয় নি পুলিশ অযথা আমাকে হয়রানি করেছে।

৭/ প্রশ্নঃ বাইকের সব কাগজ ঠিক আছে, ট্রাফিক রুলস ভায়োলেশনও করিনি, আমার হেলমেটও আছে তবে কেন লুকিং গ্লাসের মামলা দিল ?

উত্তরঃ লুকিং গ্লাস খুলে ফেলা কোন স্টাইল নয়। হেলমেটের মত এটাও আপনার সেফটির জন্য, আপনি যদি ঢাকা শহরে বাইক চালান আর আপনার বাইকে যদি লুকিং গ্লাস না থাকে সেক্ষেত্রে আপনি বুঝতে পারবেন লুকিং গ্লাস বাইকের জন্য কতটা জরুরি।

৮/ প্রশ্নঃ আমার বাইক যদি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়ে থাকি কিংবা ভাই বা বাবার বাইক চালাই তাহলে কি মালিকানার মামলা হবে ?

উত্তরঃ গাড়ি বিক্রি হলে বা ক্রয় করলে অবশ্যই মালিকানা পরিবর্তন করে নিতে হবে। আর উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্য হলে মালিকানা করে নেয়াই ভাল কারন আপনিই এটা আজীবন চালাবেন। ভাই বা বাবার গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে পুলিশ কন্সিডার করে থাকে । সেক্ষেত্রে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স সাথে রাখবেন বাইকের কাগজ সহ। বড় ঝামেলা এড়াতে বাবা/ভাই এর গাড়ি চালানোর লিখিত অনুমতিপত্র নোটারি করে নিতে পারেন।

উত্তরাধিকার সূত্রে

৯/ প্রশ্নঃ বর্ডার ক্রস বাইক কিনে কি কাগজ করা যায় ?

উত্তরঃ না বর্ডার ক্রস বাইকের কাগজ কররা যায় না। যারা বলে, মনে রাখবেন জেনে শুনে প্রতারিত হতে যাবেন না।

বাইকের মামলা অনেক কারনেই হতে পারে, তবে আজ কমন কিছু প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করলাম। এই সংক্রান্ত যদি আপনাদের আরও প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টে জানান, আমি চেষ্টা করবো আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে।