আমি নূর মোহাম্মদ আরিফ । আমি ঢাকা মিরপুরে থাকি। বর্তমানে আমি একটি Vespa SXL 125 স্কুটার ব্যবহার করি । স্কুটারটি আমি ৩১০০+ কিলোমিটার চালিয়েছি । আজ আমি আমার এই Vespa SXL 125 স্কুটারটি নিয়ে আমার কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।
করোনাকালীন সময়ে কর্মজীবন আর ব্যক্তিগত জীবনে অনেক পরিবর্তন চলে আসে। ২০১৯ সালে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগেছিলাম, তাই করোনার একদম শুরু থেকেই আমি গনপরিবহন এড়িয়ে চলা শুরু করি।
কিন্তু উবার কার আর সিএনজি অটোরিকশায় যাতায়ত করে খুব একটা পোষাচ্ছিল না। এটাকেই মোক্ষম সুযোগ ধরে বাসায় ঘোষণা দিলাম, আমি দুই চাকার কিছু একটা কিনবো।
আমি বাইক চালানো শিখেছিলাম এলাকার এক ছোটভাইয়ের হর্নেট দিয়ে, তাই হর্নেট কেনার প্রতি একটা আগ্রহ ছিল। কিন্তু বাসায় ব্যপক আন্দোলন, মানে স্ত্রী, মা, বাবা কেউ-ই মোটরবাইকের পক্ষে নেই।
Click To See Vespa SXL 125 Bike Price In Bangladesh
এদিকে আমাদের বিল্ডিং এর বেশ কয়েকজন স্কুটার ব্যবহার করেন, আব্বা তাঁদের সাথে কথা বলে আস্বস্ত হলেন যে এটা বাইকের চাইতে কিছুটা নিরাপদ। আমাকে বললেন, স্কুটার কিনতে। আমি ভগ্ন হৃদয়ে স্কুটার যাচাই বাছাই করতে করতে দেখলাম সুজুকি এক্সেস ১২৫ কিনলে আমার যা যা চাহিদা সব পূরন হবে।
কিন্তু করোনার কারনে আমদানী বন্ধ আর শোরুম-ও খালি। কোথাও সুজুকি এক্সেস ১২৫ পেলাম না। জুলাই ২০২০ থেকে অপেক্ষা করতে করতে আগস্ট চলে এলো, তাও কোন আশা ভরসা দিতে পারলো না কোন শোরুম।
একদিন জাস্ট কৌতুহলবশত ভেসপার ইস্কাটন শোরুমে যাই, স্কুটারগুলো বেশ ভালো লেগে যায়। কিন্তু দামের কারনে কেনার কথা মাথা থেকে বাদ দেই।
Click To See Vespa VXL 150 Test Ride Review In Bangla – Team BikeBD
তো আমার অপেক্ষা চলছে, এর মধ্যে একদিন ভেসপা থেকে আল-আমিন ভাই কল দিলেন, বললেন, “ভাইয়া, কেমন আছেন? আমি রানার-ভেসপা শোরুম থেকে আল-আমিন বলছিলাম। আপনি সুস্থ্য আছেন? জাস্ট এটা জানার জন্যই কল দিয়েছি”।
আমি তাঁর সেলসম্যানশীপে অবাক হলাম। ভাবলাম ভেসপা নিয়ে একটু চিন্তা করি, খোঁজ খবর নিতে থাকলাম। পরে ঠিক করলাম Vespa SXL 125 অথবা Vespa SXL 150 Matte Black কালার কিনবো।
ভাগ্য এখানেও খারাপ, এই রঙয়ের সব প্রোডাক্ট শেষ। আল-আমিন ভাই আমাকে অপেক্ষা করতে বললেন। একমাত্র এই লোককেই দেখলাম, বিরক্ত না করে কাস্টোমারের সাথে কিভাবে যোগাযোগ রাখতে হয় এই আর্ট-টা জানেন।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ২৩ তারিখ , হঠাৎ ফোন আসলো আল-আমিন ভাইয়ের, জানালেন সুন্দর একটা কালার এসেছে, আমি আগ্রহী থাকলে উনি আমার জন্য রাখবেন।
আমি হোয়াটসএপে ছবি দেখেই খুব ভালো লাগলো, সাথে সাথে অফিস থেকে চলে গেলাম ভেসপার তেজগাঁও শোরুমে বুকিং দিয়ে এলাম, আর পরদিন বাকি টাকা দিয়ে কিনে ফেললাম Vespa SXL 125।
আমি যখন স্কুটারটি ক্রয় করি তখন Vespa SXL 125 স্কুটারটির বাজার মূল্য ছিল ১,৯০,০০০ টাকা (২০০০ টাকা এক্সট্রা ডিস্কাউন্ট পাওয়ার পর)।
স্কুটারের মজা বুঝে গেলাম কেনার পরের দিন, একটু চালানোর পরেই কনফিডেন্স চলে এলো, অলি গলি ঘুরতে ঘুরতে শিখে গেলাম। আমি আমার স্কুটারটি চালাতে অনেক ভালোবাসি।
Click To See All Vespa Bike Price In Bangladesh
কতদিন যে বিনা কারনে রাতের বেলা স্কুটার নিয়ে বের হয়েছি তাঁর কোন হিসেব নেই। আমার কাছে মনে হয় একটা বাইক থাকা মানে স্বাধীনতা জীবনটা আরেকটু ভালোভাবে উপভোগ করা।
অন্যের বাইকের ময়লা হেলমেট পরার দরকার নেই, এপে নাকি খ্যাপে এই ঝগড়ার দরকার নেই, দামা দামির দরকার নেই, নিজের জিনিষ যখন মন চায় বেরিয়ে পড়ো।
প্রথমদিন Vespa SXL 125 চালানোর অনূভুতির কথাটা বলা হয় নাই। আমি আসলে গ্যারেজে একটু প্র্যাক্টিস করতে চেয়েছিলাম। স্কুটার স্টার্ট দেওয়ার পর আমাদের কেয়ারটেকার চাচা গেটখুলে দিলেন, ব্যপারটা তখন প্রেস্টিজ ইস্যু। চাচা তো জানেন না আমার খবর। তো আমিও আল্লাহ মহান বলে টান দিয়ে বের হয়ে গিয়েছিলাম।
ফিচার-
Vespa SXL 125 সবচাইতে বড় ফিচার হচ্ছে এটা ভেসপা। এর কালার আর ডিজাইন্যের কারনে যেখানেই যাই, আশে পাশের সবাই উতসুক হয়ে আমার Vespa SXL 125 স্কুটারের ব্যপারে জানতে চেস্টা করেন।
মজার ব্যপার হচ্ছে, বেশিরভাগ মানুষের প্রথম প্রশ্ন থাকে, “ভাই এটা কি তেলে চলে?” ভেসপার আরেকটি বড় ফিচার হচ্ছে, একই সেগমেন্টের অন্যান্য স্কুটারের তুলনায় Vespa এর পিকআপ কিছুটা বেশী, যার ফলে ওভারটেকিং করার সময় ভালো কনফিডেন্স পাওয়া যায়।
ভেসপার চাকার সাইজটাও অন্যান্য স্কুটারের চাইতে বড়, আর সামনে আছে ডিস্ক ব্রেক। তাই দুইয়ে মিলে ব্রেকিং এক কথায় অসাধারন মনে হয়েছে আমার কাছে।
আরেকটা ফিচার, এটা সবাই জানে, তাও বলি – স্কুটারের কোন গিয়ার নেই আর পায়ে ব্রেক নেই। এটা অটোগিয়ার আর ২টা ব্রেকই হাতের মধ্যে।
সার্ভিস-
Vespa SXL 125 এর সার্ভিসিং নিয়ে আমার কিছুটা অসন্তোষ আছে। আমি Vespa SXL 125 স্কুটারটি কিনেছিলাম, রানার তেজগাঁও শোরুম থেকে। প্রথম সার্ভিসিংয়ের ডেট যেদিন আসলো, তখনো আমার লাইসেন্স কিংবা নাম্বার প্লেট রেডি ছিল না, তাই বাসার কাছে ৬০ ফিটের প্লাটিনাম মটরসে যাই প্রথম সার্ভিসিংয়ের জন্য।
Click To See All Bike Price In Bangladesh
যেহেতু পুর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না, তাই পুরোটা সময় আমি স্কুটারের কাছে ছিলাম না। স্কুটার বুঝে নেওয়ার সময় দেখলাম এর ডান দিকে লম্বা একটা স্ক্রাচ। দোকানের টেকনিশিয়ান বললো, এটা নাকি আমি নিজেই করে নিয়ে এসেছি। অথচ আসার আগে আমি প্রতি ইঞ্চি সুন্দর করে মাইক্রোফাইবার ক্লথ দিয়ে মুছে এনেছিলাম, আমার চোখে পড়ে নি। আর দাগটা দেখেই বুঝা যাচ্ছিল এটা মাত্রই হয়েছে।
দ্বিতীয় সার্ভিসিং করাই তেজগাঁয়ে সেদিন স্ক্র্যাচ আরো বেশি পড়লো। বাম্পার লাগাতে গিয়ে তাঁরা স্ক্র্যাচগুলো ফেলে। তবে সার্ভিস সেন্টারের ম্যানেজার অনেক ভালো মানুষ, তিনি কথা দেন যে আমার রঙয়ের যত সমস্যা হয়েছে, উনি এটা নিজের লোক দিয়ে ঠিক করে দিবেন।
স্কুটার নিয়ে একটা জিনিষ টের পেলাম। আপনি পকেট ভর্তি টাকা নিয়ে ঘুরলেও বেশিরভাগ টেকনিশিয়ান স্কুটারে হাত দিতে চায় না। ব্যতিক্রম পেয়েছি মিরপুর ৬০ ফিটের টেকনো সার্ভিস স্টেশনে আর মিরপুর ১০এর নওগাঁ মটরসের এক মেকানিকের কাছে। তাঁরা খুব যত্ন নিয়ে সব বাইকের কাজ করে, হোক সেটা বাইক কিংবা ভেসপা।
সার্ভিসিংয়ের সময় আমি যে কাজগুলো মূলত করাই –
- ইঞ্জিন ওয়েল পরিবর্তন (যদি দরকার হয়)
- ব্রেক সার্ভিসিং
- এয়ার ফিল্টার ক্লিনিং
- স্পার্ক প্লাগ ক্লিনিং আর অন্যান্য যদি কোন সমস্যা থাকে সেসব
মাইলেজ-
মাইলেজের দিক থেকে Vespa SXL 125 ইউজার হিসেবে আমি অনেক সৌভাগ্যবান। কারন, প্রথম থেকেই আমার স্কুটারের মাইলেজ নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। যেখানে অনেক ইউজার ২৬-২৮ পাচ্ছিলেন, আমি প্রথমে ৩৩-৩৫ আর এখন ৪০ +/- পাচ্ছি।
যত্ন আর মেইন্টেন্যান্স-
যত্ন-আত্নি আমি নিজেই করি বেশিরভাগ সময়। বাসায় ওয়াক্স শ্যাম্পু দিয়ে স্কুটার ওয়াশ করি। প্রতিটা কাজ আমি অনেক সাবধানতার সাথে করার চেস্টা করি এবং উন্নতমানের প্রোডাক্ট ব্যবহারের চেস্টা করি। মাসে একদিন নিজেই ফর্মুলা ওয়ান ওয়াক্স পলিশ করি। চকচকে ঝকঝকে স্কুটারটার জন্য অনেকের প্রশংসা পেয়েছি।
এছাড়া, আমি এখন পর্যন্ত ৩০০০ কিলোমিটার + মবিল ব্র্যান্ডের মিনারেল ইঞ্জিন ওয়েল ব্যবহার করছি। আমি চেস্টা করি ৫০০ কিলোমিটার কিংবা তাঁর আগেই ইঞ্জিন ওয়েল পরিবর্তন করতে।
বর্তমানে আমি MOBIL 20W40 ব্যবহার করছি। এটা আমার স্কুটারের ম্যানুয়ালে উল্লেখিত গ্রেড, যদিও মাঝে একবার MOBIL 10W30 Oil ব্যবহার করেছি, ভালো-ও লেগেছে, কিন্তু পরবর্তিতে আবার ম্যানুয়ালে উল্লেখিত গ্রেডের ওয়েল ব্যবহার করেছি।
এই প্রোডাক্টটি আমি দারাজ এর মোবিল বাংলাদেশের অফিসিয়াল শপ থেকে নেই, ফলে নকল ইঞ্জিন ওয়েল পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। বর্তমানে ১ লিটার এর দাম ৪১৫ টাকা।
মডিফিকেশন-
স্কুটারে এখন পর্যন্ত আমার বেশ কিছু মডিফিকেশন করা হয়েছে। নিচে সবগুলো আইটেমের বিস্তারিত লিখলাম-
হেডলাইট-
ভেসপার স্টক হেডলাইটের আলো অনেক কম। আমি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে Novsight F03x কিনে সেট করি, কিন্তু তাতেও হতাশ হই। কারন আমার রিফ্লেক্টরে F03x ভালো আলো ফেলতে পারে নি।
পরে আমি Novsight Bangladesh -এ ব্যপারটা জানাই, তাঁরা আমাকে Novsight S1 অথবা S2 কেনার পরামর্শ দেন। এই এক্সপেরিমেন্টটা খুব ব্যায়বহুল ছিল। প্রথমে প্রায় ১৬০০ টাকা দিয়ে F03x কেনা পরে আবার ১১০০ টাকা দিয়ে S2 কিনতে হয়। তবে, যা চেয়েছিলাম সেটা হয়েছিল। অনেক চমৎকার আলো পাচ্ছি এখন।
হর্ন-
স্টক হেডলাইটের মত স্টক হর্ন-ও অনেক দূর্বল। আমি মিন্ডা ডি৭০ ডুয়াল হর্ন ইন্সটল করেছি, সিটিতে পার্ফরমেন্স ভালো, কিন্তু হাইওয়েতে এই হর্নে কাজ হয় না তেমন। যদিও হর্ন একেবারেই না পারতে বাজাই।
ফুট ম্যাট, বাম্পার, গ্র্যাব রেইল-
Vespa SXL 125 এর সাথে গ্র্যাব রেইল আসে না। আলাদা কেনা লাগে। আমি হাফসা মটরস থেকে ২৫০০ টাকা দিয়ে লোগো সহ গ্র্যাব রেইল কিনে ফেলি। আর বাম্পার এবং ফুট ম্যাট আমার একজন প্রতিবেশি ব্যক্তিগত ভাবে ইম্পোর্ট করিয়ে আনেন, আমি তাঁর কাছ থেকে কিনি।
স্পার্ক প্লাগ, রেসিং কেবল, ইগ্নিশন কয়েল আর নাইন পাওয়ার-
স্কুটার ইউজারদের একটা প্রিয় ইউটিউবার আছেন, তাঁর নাম অরন্য শান্ত। তাঁর চ্যানেলের একজন ইউজার জানান তিনি বাইকের স্পার্ক প্লাগ, ইগ্নিশন কয়েল ইত্যাদি পরিবর্তন করেছেন, পরে আবিস্কার করি তিনি আমার প্রতিবেশী।
পরে আমি নিজেও VT Motorsport থেকে একটা প্যাকেজ কিনি – প্যাকেজে ছিল NGK Laser Iridium Spark Plug, NGK Racing Cable, Faito Ignition Coil, 9 Power Stabilizer। এই সব আইটেম আমি ইন্সটল করি ৬০ ফিটের টেকনো সার্ভিস স্টেশনে।
এরপর চালানোর অভিজ্ঞতাটাই পালটে গিয়েছে। স্কুটারের এক্সিলারেশন যেমন বেড়েছে, তেমনি পিকআপ ছাড়ার পর পাওয়ার খুব ধীরে ধীরে কমে, ফলে ফুয়েল কন্সাম্পশন কম হয়। সামনে, সাইলেন্সার আপগ্রেড করার ইচ্ছে আছে।
টপস্পিড-এখন পর্যন্ত আমি আমার স্কুটারের টপ স্পিড পেয়েছি ১০৮, তবে তখন ২৫০০ কিলো বয়স ছিলো, এখন কিছুটা বাড়বে আশা করি।
Vespa SXL 125 স্কুটারের কিছু ভালো দিক-
আমার কাছে আমার স্কুটারের সবই ভালো দিক, তারপরেও এই ৫ টি ব্যপার আমার খুব ভালো লাগে –
- বেশ আরামদায়ক
- টার্নিং রেডিয়াস অনেক কম, ফলে জ্যামের ভেতর চলতে সুবিধা হয়।
- ব্রেকিং এবং কন্ট্রোলিং খুবই ভালো।
- পিকাআপ বেশ ভালো।
- লুকিং বেশ চমৎকার।
Vespa SXL 125 স্কূটারের কিছু খারাপ দিক –
- স্পেয়ার পার্টস অপ্রতুল
- স্পেয়ার পার্টস সহ যেকোন আইটেম পরিবর্তন অথবা সার্ভিসিং করা খুব ব্যায়সাপেক্ষ
- অন্যান্য স্কুটারের তুলনায় সিট কিছুটা ছোট
- চাকা ছোট, তাই ঝাঁকুনি বেশি লাগে
- মাইলেজ ৪০ হলেও, ১২৫ সিসির একটি বাইক হয়তো ৫০-৬০ মাইলেজ দিত
লং ট্যুর –
Vespa SXL 125 স্কুটার নিয়ে লং ট্যুর বলতে শুধু মাওয়াতে গিয়েছি আর একবার আশুলিয়ার এক গ্রামে খেজুরের রস খেতে গিয়েছিলাম। হাইওয়েতে এর পারফর্মেন্স অনেক ভালো ছিল। লম্বা দূরত্ব চালানোর পরেও শরীরে কোন রকম ব্যথা করে নি।
স্কুটারের জগতে ভেসপার রাজত্ব একেবারে শুরু থেকেই। এই বাহনের পেছনে আছে বহুবছরের ইতিহাস আর গবেষণা। তাছাড়া, যারা ভেসপা রাইড করেন তাঁরা তাঁদের বাহনটিকে নিজের পরিবারের অংশ হিসেবেই মনে করেন।
তবে বাংলাদেশের স্কুটার বাজারে ভেসপা এখনো অতটা জনপ্রিয় হয়নি, যার পেছনে অবশ্যই অন্যতম কারন এর দাম আর কিছু ভ্রান্ত ধারনা। দাম কমিয়ে যদি হাতের নাগালে আনা যেতো তাহলে মানুষ ভেসপার প্রতি আগ্রহবোধ করতো।
Click To See All User Review Article
আর যারা আগ্রহী, তাঁদের অনেকেই কান কথা দেন যে এই স্কুটার কিনলে পার্টস পাবেন না, মেইন্টেন্যান্স পাবেন না, সারাজীবন হায় হায়। যা একেবারেই ভুল, আপনার যদি পার্টস-ই না লাগে, তাহলে সেটা নিয়ে মাথা ব্যথা করে সময় নস্ট করার কারন দেখি না।
ভেসপার বিল্ড কোয়ালিটি এবং পার্টস কোয়ালিটী বেশ ভালো, সুতরাং আমি অযথা পার্টস নিয়ে মাথা ঘামাই না। আর মিরপুর-১০ এবং বংশাল, এখানে এমন কোন বাইক অথবা স্কুটার নেই যার মেকানিক পাওয়া যাবে না। সুতরাং, নিশ্চিন্তে ভেসপা কিনুন, আনন্দে ভ্রমন করুন। ধন্যবাদ ।
লিখেছেনঃ নূর মোহাম্মদ আরিফ
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।